পাঞ্জাবে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে খড় পোড়ানোর প্রবণতা। গত কয়েক দিনে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মোট ৫৬টি ক্ষেতের আগুনের ঘটনা রেকর্ড হয়েছে, যার মধ্যে নতুন করে দায়ের হয়েছে পাঁচটি এফআইআর। পরিবেশবিদরা বলছেন, এই ধরণের দাহ প্রক্রিয়া শুধু বায়ুদূষণ বাড়াচ্ছে না, বরং শীতকালে দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় ভয়াবহ স্মগ পরিস্থিতিরও আশঙ্কা তৈরি করছে।
সরকার দীর্ঘদিন ধরেই কৃষকদের সচেতন করে আসছে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। কৃষি যন্ত্রপাতি ভর্তুকি, বিকল্প ফসলচাষ এবং আর্থিক প্রণোদনার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এখনও বহু কৃষক খরচ বাঁচাতে সরাসরি খড় জ্বালিয়ে দিচ্ছেন মাঠে। এর ফলে বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকারক কণিকা ছড়িয়ে পড়ছে এবং স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে।
পাঞ্জাব প্রশাসন জানিয়েছে, খড় পোড়ানো রুখতে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। ড্রোন ও স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে আগুন লাগার ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আইন ভাঙলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু দমনমূলক পদক্ষেপ নয়, কৃষকদের জন্য কার্যকর বিকল্প পথ দেখানোই এখন সময়ের দাবি।