নরেন্দ্রনাথ কুলে
মহালয়ের দিন পিতৃপক্ষের শেষ দেবীপক্ষ শুরু । এখন চলছে দেবীপক্ষ । আজকের এই সমাজ পিতৃ-পক্ষে না দেবী পক্ষে ? সত্যিই কি পিতৃপক্ষ শেষ হয় । দেবী পক্ষে সমাজের শুভটাকে আহ্বান করে, আরাধনা করে । সমস্ত অশুভ শক্তি বিনাশের আরাধনা এই দেবী পক্ষ । দিনে দিনে অশুভ শক্তির বিনাশ কি সম্ভব করে তোলা যাচ্ছে ? এই প্রশ্ন নিয়েই বলতে হয় সমাজে অশুভ শক্তির আঁতাত দূর করা সম্ভব হচ্ছে না । যতদিন যাচ্ছে এই অশুভ আঁতাতে মানুষ নিঃশেষিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত । আর মুখোশধারী এক অসুরের দল ঘুরে বেড়াচ্ছে অহরহ । এই অসুরের দল নারীশক্তির মর্যাদা লুন্ঠন করে চলেছে সর্বত্র ।
আজ দেবীপক্ষে বাংলা তথা দেশ জুড়ে নারীশক্তির আরাধনায় অশুভ শক্তির পরাজয় না ঘটলে কিছু যায় আসে না । কারণ প্রতিবছর দেবীপক্ষ আসে কিন্তু অশুভ শক্তির বিনাশ হওয়া ত দূূরের কথা, সে এক পথ থেকে আর এক পথে হাজির হয় । তাই অশুভ শক্তি নিয়ে কথা হতে পারে কিন্তু মাথা ঘামালে চলবে না । কিন্তু আজ ঠিক এই সময়ে বলতে হচ্ছে যে দেবিপক্ষের আরাধনার এই উৎসবে মানুষের প্রার্থনা থাকবে উৎসবের আনন্দ উন্মাদনা থাকবে। অথচ অসুর নিধন হবে না । আজকে এই অসুরগণ হয়তো আরো শক্তিধর দুর্গাদেবী কিংবা দেবতার আশীর্বাদধন্য হয়ে ওঠে । সমাজে তাদের নৃত্য ছায়ানৃত্য চলছে চলবে । সত্যি আমরা উৎসবপ্রিয় বাঙালি উৎসবের আনন্দ নিয়ে উন্মাদনায় থাকব সেটাই স্বাভাবিক । কিন্তু অসুর নিধন কিংবা অশুভ শক্তি বিনাশ করার জন্য উন্মাদনা শুধু কথায় আটকে থাকবে । অশুভ শক্তি বিনাশ করার দায়িত্ব কেবল মা দুর্গার । তাই মা দুুুুর্গার ওপর ভরসা করে পথে নামতে পারি সকলে একসাথে । আনন্দ ভাগ করে নিতে পারার সাহস দেখাতে পারি । এ ব্যাপারেে কবিগুরুর লাইন গেয়ে যাব-- নাই নাই ভয়, হবেই হবে জয় । সেই জয়ের ভাবনায় সাহস নিয়ে সবাই বলবো দুর্গা মায়ের জয় । অথচ অসুরদের সাহসের অভাব ঘটে না ।