দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে রাস্তার কুকুরদের ভাগ্যে বড় পরিবর্তন আনল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, যে সব পথকুকুর ইতিমধ্যেই স্টেরিলাইজ করা হয়েছে এবং টিকা দেওয়া আছে, অথচ তারা কারও ক্ষতি করে না—তাদের পুনরায় আগের জায়গায় ছেড়ে দিতে হবে। তবে যেসব কুকুরকে ‘আক্রমণাত্মক’ বা ‘হিংস্র’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে দেওয়ার নির্দেশ বহাল থাকবে।
প্রাণপ্রেমী ও পশু অধিকার কর্মীদের জন্য এই রায় নিঃসন্দেহে স্বস্তির। গত কয়েকদিনে এই নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছিল। কারণ, এমসিডি ও কিছু সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছিল যে, সমস্ত পথকুকুরকে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখাই নিরাপদ। তবে সুপ্রিম কোর্টের মতে, সংবেদনশীলতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে টিকা দেওয়া ও স্টেরিলাইজ করা কুকুরদের রাস্তায় ফিরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রায় শুধু প্রাণীদের স্বাধীনতাকেই সুরক্ষা দেয় না, বরং ভারতের নগরজীবনে মানুষ ও প্রাণীর সহাবস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও বহন করছে। আদালত স্পষ্ট করেছে, পশুদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা যাবে না, আবার মানুষের নিরাপত্তাও অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।
এই নির্দেশ কার্যকর হলে দিল্লি-এনসিআরের হাজার হাজার পথকুকুর আবারও নিজেদের জায়গায় ফিরে যাবে। প্রাণপ্রেমীদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করল—আইনের চোখে মানুষ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই প্রাণীদেরও মর্যাদা রয়েছে।