সোমনাথ চৌধুরী :
নির্বাচন প্রক্রিয়ার ভোটার তালিকা থেকে ইভিএম, ভিভিপ্যাট থেকে ভোটের হার,প্রতিটি ক্ষেত্রই প্রশ্নের মুখে ।কার্যত বিশ্বাসযোগ্যতার সংঙ্কটে ধুকছে বিগত বছর দেড়েক ধরে বিরোধীদের তোপে নির্বাচন কমিশন।এমন আবহে এবার চাপের মুখে স্বচ্ছতা ফেরাতে মরিয়া জাতীয় নির্বাচন কমিশন ।
গত ৬ মাস ধরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নিয়ে ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা আনতে ধারাবাহিক আলোচনা চলছে,এমনটাই জানানো হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে ।ভোটার তালিকার শুদ্ধিকরণ, ভোটপ্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছ্বতা নিশ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে উক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ।এই লক্ষ্যে মোট ২৮টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্তরে মোট ৪ হাজার ৭১৯টি বৈঠক হয়েছে। শুধু মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকেরাই করেছেন ৪০টি বৈঠক,এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নেওয়া ২৮টি পদক্ষেপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিএলওদের সচিত্র পরিচয়পত্র প্রদান, অস্বীকৃত ও নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল,ইভিএম মাইক্রোকন্ট্রোলারের নিয়মিত পরীক্ষা, আন্তর্জাতিক নির্বাচন কমিশনগুলির সঙ্গে মত বিনিময়, ভোট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে বিশেষ অ্যাপ চালু, ১০০ ভাগ ওয়েবকাস্টিং এবং প্রতি মুহূর্তে ভোটের হারের আপডেট দেওয়া। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলি পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে, বেশ কয়েকটি এখনও আলোচনাধীন।
উল্লেখ্য , বিগত কয়েক আগে ভোটার তালিকায় তুলে ধরে কমিশনের বিরুদ্ধে ভুয়ো ভোটার সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ আনেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী দাবি করেন, “ভোটচুরি হচ্ছে মোট ৬ রকম ভাবে।” তাঁর আরও অভিযোগ, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কমিশনের সাহায্যে বহু আসনে ভোটচুরি করে জয়ী হয়েছে। যদিও কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, “কমিশনের চোখে সব দল সমান। ভোটাররাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
প্রসঙ্গত , একাধিক অভিযোগ সহ প্রশ্নবাণের চাপে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠাই নির্বাচন কমিশনের এখন প্রধান লক্ষ্য। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নেওয়া ২৮টি পদক্ষেপের গ্রহনের মধ্য দিয়ে কি ভোটপ্রক্রিয়া নিয়ে জমে থাকা প্রশ্নের উত্তর মিলবে? আগামীতে কতটা সফল হয় উক্ত প্রক্রিয়াগুলো নাকি আবার নতুন প্রশ্ন তুলবে বিরোধীরা এখন সেটাই দেখার।