সংসদে পেশ হল এক ঐতিহাসিক বিল, যা কার্যকর হলে ভারতীয় রাজনীতির মানচিত্রে নতুন অধ্যায় রচিত হবে। বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা কেন্দ্র ও রাজ্যের যে কোনও মন্ত্রী গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে পরপর ৩০ দিন জেলে থাকলে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাঁদের পদ খোওয়া যাবে। অর্থাৎ ৩১তম দিন থেকে তাঁরা আর সেই পদে বহাল থাকতে পারবেন না।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মোট তিনটি পৃথক বিল লোকসভায় তোলা হয়েছে, যাতে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এই নতুন নিয়ম কার্যকর করা যায়। উদ্দেশ্য, রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করা এবং ক্ষমতার আসনকে আরও স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ করে তোলা। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিলটি আইনে রূপান্তরিত হলে দুর্নীতি ও অপরাধে অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে এটি বড় বার্তা হয়ে উঠবে।
তবে বিরোধীদের মতে, এই পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তারা অভিযোগ তুলেছে, সরকার বিরোধী নেতাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে এবং বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই তাঁদের ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্যই এই আইন আনার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, বিলটি এখনো পাস হয়নি। সংসদের যৌথ কমিটিতে আলোচনা শেষে তা আইন হিসেবে কার্যকর হবে কি না, তা নির্ভর করবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সমর্থনের উপর। সংবিধান সংশোধনের জন্য বিশেষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন, আর সেই সমর্থন আদায় করতে সরকারের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ থাকছে।
বিশ্লেষকদের মতে, আইন কার্যকর হলে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি হবে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, যেখানে অপরাধ আর ক্ষমতার আসনে একসাথে চলবে না। তবে শেষ পর্যন্ত এই বিল সংসদে পাস হয় কি না, সেটাই এখন নজর কাড়ছে দেশের রাজনৈতিক মহলে।