“রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের আশ্রয়দাত্রী মুখ্যমন্ত্রী” — মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর, পাল্টা প্রস্তুতি তৃণমূলের
দক্ষিণবঙ্গের রাজনীতিতে ফের উত্তেজনার হাওয়া। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তাকে “রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিমদের আশ্রয়দাত্রী” বলে অভিযুক্ত করেছেন। এই মন্তব্য রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক টানাপোড়েনকে আরও জটিল করে তুলেছে।
এক প্রকাশ্য সভা থেকে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, “মুখ্যমন্ত্রী বাংলার নিরাপত্তাকে তিলমাত্র গুরুত্ব না দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করছেন, যারা দেশের জন্য বিপদ। ভোটের রাজনীতির স্বার্থে তিনি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের আশ্রয় দিচ্ছেন।”
এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই মন্তব্যকে “ঘৃণার রাজনীতি” বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা — অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখ — কে নির্দেশ দিয়েছেন একযোগে কাজ করতে, যাতে ভোটার তালিকা নিয়ে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে “ষড়যন্ত্রমূলক” পদক্ষেপ প্রতিহত করা যায়।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা যে কিছু চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেই পরিকল্পনা ঠেকাতেই অনুব্রত ও কাজল শেখকে একসাথে মাঠে নামানো হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একদিকে শুভেন্দুর আক্রমণ এবং অন্যদিকে তৃণমূলের পাল্টা প্রতিরোধ — উভয়েই আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গের রাজনীতি তীব্র সংঘর্ষের দিকে এগোচ্ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। রাজ্যের জনগণের জন্য এই সংঘাতের পরিণতি কতটা গভীর হবে, তা সময়ই বলবে।