অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সোমবার সংসদে সংশোধিত আয়কর বিল ২০২৫ পেশ করেছেন, যা গত সপ্তাহে প্রত্যাহার করে আগের খসড়াটির পরিবর্তে আনা হয়েছে। বিজেপি নেতা বৈজয়ন্ত পান্ডার সভাপতিত্বে সংসদীয় নির্বাচন কমিটির ২৮৫টি পরামর্শের মধ্যে অধিকাংশ, বিশেষ করে ৩২টি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ, নতুন সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় প্রথম উপস্থাপিত বিলটি ১৯৬১ সালের আয়কর আইনকে সহজ ভাষা ও স্পষ্ট কাঠামো দিয়ে প্রতিস্থাপনের লক্ষ্য নিয়েছে। সীতারমন জানান, বিভ্রান্তি এড়াতে ও আইনটি সঠিক অর্থ প্রকাশে সক্ষম করতে আগের খসড়া প্রত্যাহার করা হয়। সংশোধনে খসড়া তৈরির ধরণ, বাক্যাংশের সারিবদ্ধকরণ, ক্রস-রেফারেন্সিং ও অন্যান্য টেকনিক্যাল পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন বিল অনুযায়ী, দেরিতে রিটার্ন জমা দিলেও অসুস্থতা বা প্রযুক্তিগত সমস্যার ক্ষেত্রে রিফান্ড আটকে দেওয়ার ধারা বাতিল হয়েছে। বাড়ির সম্পত্তির কর মূল্যায়নে "স্বাভাবিকভাবে" শব্দটি বাদ দিয়ে প্রকৃত বা গণ্যমান্য ভাড়ার উচ্চতর ভিত্তিতে কর আরোপ হবে। পৌর কর বাদ দিয়ে ৩০% স্ট্যান্ডার্ড কর্তন কার্যকর থাকবে এবং স্ব-অধিকৃত ও ভাড়া দেওয়া উভয় ধরনের সম্পত্তির জন্য নির্মাণ-পূর্ব সুদ কর্তনযোগ্য হবে।
এছাড়া, কমিউটেড পেনশনের সম্পূর্ণ পরিমাণ নির্দিষ্ট তহবিল থেকে প্রাপ্ত হলে করমুক্ত থাকবে, যা এখন কর্মচারী নন এমন করদাতাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ব্যবসায়িক সম্পত্তি সাময়িকভাবে অব্যবহৃত থাকলে কল্পিত ভাড়ার উপর কর আরোপ হবে না।
নতুন কর স্ল্যাবে আয় ₹৪ লক্ষ পর্যন্ত করমুক্ত রাখা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ স্ল্যাব ₹২৪ লক্ষের বেশি আয়ে ৩০% কর। ধারা ৮৭ক অনুযায়ী, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের বাসিন্দারা সর্বোচ্চ ₹১২,৫০০ পর্যন্ত কর ছাড় পাবেন। নতুন ব্যবস্থায় ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের জন্য ছাড় ₹৬০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে, যা ধীরে ধীরে কমে যাবে উচ্চ আয়ের ক্ষেত্রে।
এই সংশোধিত বিল করদাতাদের জন্য স্বচ্ছতা, সরলতা এবং কর সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি আয়কর প্রশাসনকে আরও কার্যকর ও জনবান্ধব করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।