Select language to read news in your own language


Like SatSakal Facebook Page to stay updated.

ধর্মের নামে কে এগিয়ে ?

নরেন্দ্রনাথ কুলে



ধর্মীয় ভক্ত জোগাড় করার কাজে ধর্মীয় কথা থেকে উপদেশে সাধু, সন্ন্যাসী, মৌলবী দের কাজ এখন অনেকটাই কমে গেছে বলে মনে হয় । ধর্মীয় ভাবনা প্রভাব বিস্তার করার জন্য এঁদের আর এখন সেভাবে প্রয়োজন নেই। আসলে ধর্মীয় এই মানুষগুলো তাঁদের ধর্মীয় ভাবনায় যতটা না প্রভাব বিস্তার করতে পারে তার থেকে বেশি মানুষকে প্রভাবিত করে ফেলছে এমন মানুষজন যাঁরা ধর্মীয় কথা নিয়ে জীবনযাপন করেন না । ধর্মীয় ভাবনার পোষাক পরেন না । এমনকি ধর্মীয় বিষয়ে পান্ডিত্য নিয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সিংহাসন আলো করে থাকেন না । ধর্মীয় কথা শোনার জন্য কিংবা মানসিক শান্তির জন্য হাজার হাজার মানুষ তাঁর বা তাঁদের কাছে ছুটে আসেন না । অথচ এঁরাই আজ যেন ধর্মের প্রচারক, ধর্মের ধারক, ধর্মের রক্ষক হিসেবে অবতীর্ণ হচ্ছেন। এমনকি এমন মানুষজন এই কাজটাই তাঁরা যেন প্রতিযোগিতা স্তরে নিয়ে চলেছেন । বর্তমান সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী র পারস্পরিক সেই প্রতিযোগিতা দৃশ্যমান হচ্ছে । এই প্রতিযোগিতায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় অনেকটা এগিয়ে আছেন । বাংলায় হিন্দু দেবদেবীর নামে প্রধানমন্ত্রী বাজিমাত করবেন এ তিনি সহ্য করবেন কেন ? প্রধানমন্ত্রী যেখানে রামমন্দির উদ্বোধন করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন করেছেন । এক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রী এগিয়ে । মুখ্যমন্ত্রীকে কোন মসজিদ ভেঙে মন্দির করতে হয়নি । এবার দেবী দুর্গার নামে 'দুর্গাঙ্গন' করার পদক্ষেপ নিতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী । মন্দির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর নাম মন্দির ইতিহাসের ফলকে লেখা থাকবে । এখন থেকে ভগবানের ধনী ভক্তদের নাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দাতা হিসেবে আর দেখা যাবে না । এমনকি পাড়ার মন্দিরে মসজিদে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী র অনুসরণকারীদের নাম ফলকে পাওয়া যাবে । সেই প্রক্রিয়া প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী শুরু করে দিয়েছেন । হাজার হাজার ভক্ত ভগবানের নামের পাশাপাশি এঁদের নাম করে বাহবা দিচ্ছেন এমন সুন্দর মন্দির তৈরি করে দেওয়ার জন্য। এই ভক্তগণ তাঁদের জীবনে কষ্ট-দুঃখকে ভগবানের পদতলে সঁপে দিতে সর্বদা প্রস্তুত। সমাজ ব্যবস্থার দানবীয় চেহারা নিয়ে তাঁদের মাথাব্যাথা নেই। কারণ তাঁদের সব ব্যাথা লাঘব করার আশায় ভগবানের মূর্তি দর্শনেই শান্তি । ধর্মীয় প্রবক্তারা হাজার হাজার মানুষকে তাঁদের বচনে যে-শান্তি দিতে পারে না, হাজার হাজার মানুষ মন্দির দর্শনে তা পেয়ে যাচ্ছে । এটা কি কম কথা । ধর্মীয় প্রবক্তাদের কাজ প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী সরকারিভাবে করে চলেছেন । কারণ তাঁদের ভাষণে এখন দেবদেবী ঠাঁই পেয়েছে । মানুষকে শান্তি দেওয়ার এই ব্যবস্থা কি সমাজসেবা নয় ? 
রাজনৈতিক সেবা র থেকে ধর্মীয় সেবা অনেক সহজ । শুধু সহজই নয়, অনেক মানুষের মন একসাথে কোন প্রশ্ন ছাড়াই সহজেই জয় করা যায় । মনে হয় রাজনৈতিকভাবে তাঁরা মানুষের জন্য সব কাজ করে ফেলেছেন, শুধু ধর্মের কাজটা বাকি ছিল হয়তো । এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় নতুন কিছু নয় । তাই মুখ্যমন্ত্রী সমাজসেবার এমন সহজ কাজ আর হাতছাড়া করতে চান না । 
ads banner


ads banner

Bangla eDaily to resume soon



Tags: