সোমনাথ চৌধুরী :
আর মাত্র কয়েক মাস বাকি সামনেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ।আর তার আগেই রাজনৈতিক আঙিনায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল নেতা ও কর্মী খুনের ঘটনায় বেড়েছে চাঞ্চল্য ।মাত্র দেড় মাস অর্থাৎ ৪৫ দিনে খুন হয়েছে অন্তত ১০ জন তৃণমূল নেতা ও কর্মী।অনেক ক্ষেত্রেই জোর তদন্ত চলছে খুনের কারণ জানতে।
জানিয়ে রাখি ,কোচবিহারের বাজারে যুব তৃণমূল নেতা অমর রায় কে প্রকাশ্য গুলি করে খুন করা হয়, অতিক্রান্ত হয়েছে ৪৮ ঘন্টা । এখনো পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি । এহেনও পরিস্থিতিতে ছেলের খুনের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নিহত অমর রায়ের মা,যিনি নিজেও একজন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান। ছেলের খুনের ঘটনায় তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন। তার অভিযোগ পুলিশ চাইলে সব করতে পারে কিন্তু করছে না।
আর এবার বাঁকুড়ার সোনামুখি খুন হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ আহ্বায়ক সিকান্দার খান । অভিযোগ গোষ্ঠীকন্দল ও প্রকল্পের টাকা দখল নিয়েই এই খুন।
বাজার থেকে সোমবার রাতে একা বাড়ি ফিরছিলেন সিকন্দার খান। অভিযোগ ,দুষ্কৃতীরা DVC ক্যানেলের পাশে পেছন থেকে গুলি চালায়,মাথা সহ পিঠে গুলি লাগে তাঁর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সিকন্দারের।
নিহত তৃণমূলের নেতার স্ত্রী আমিনা বিবির অভিযোগ,কি করছে প্রশাসন? কোথা থেকে আসে অস্ত্র! যাদের কাছে অস্ত্র আছে তা দেখেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ প্রশাসন।
নিহত তৃণমূল নেতার বোন রুপসানা বিবির অভিযোগ,এই খুন নাকি 'আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান' উক্ত প্রকল্পের ১০ লক্ষ টাকা দখল নিয়েই। তাঁর দাবি প্রাক্তন তৃণমূল বুথ সভাপতি নাসিম শেখ সিকন্দার খানের জায়গা দখল করে টাকা ও প্রভাব নিজের হাতে নিতে চেয়েছিল,তাই এই খুন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় বেপাত্তা নাসিম শেখ।
ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক খুনের ঘটনায় নড়ে চড়ে বসেছে রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনও। তৃণমূল সূত্রের খবর,মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জেলাপুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের প্রশ্ন করেন, এত খুন কিভাবে হচ্ছে? দায়িত্ব কোথায় থানার? মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্টবার্তা দায়িত্ব নিয়ে বসে থাকলেই হবে না প্রশাসনকে কাজ করতে হবে।