হাসান লস্কর বাবলু :
সারা বছর ধরে পর্যটকরা আসেন সুন্দরবন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কুলতলীর কৈখালীতে। এখানকার একাধিক ঘাট থেকে নৌকা ও লঞ্চে করে সুন্দরবন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পর্যটকেরা। এখানে আছে রামকৃষ্ণ আশ্রম। সাজানো গোছানো রং বাহারি ফুলের বাগান মন্দির ও একাধিক প্রশিক্ষণ খামার যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। রাত্রিযাপনের জন্য আছে একাধিক রাত্রি নিবাস। সরকারের সাথে সাথে বেসরকারি একাধিক গেস্ট হাউস। এখানে আছে যাত্রী প্রতীক্ষালয়, কমিউনিটি টয়লেট। কিছু সময় কাটানোর সুন্দর স্থান ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল নদীর পাড়ে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর মত দারুণ পরিবেশ এখানে আছে। অধিকাংশ সময় সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দর্শন তো লেগে আছে। এর ফলে দিনের পর দিন এখানে পর্যটকদের সংখ্যা যেমন বাড়ছে উৎসুক জনতার ভিড় লেগে আছে। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ঘেরা সবুজ জঙ্গল ও নদীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে প্লাস্টিক জলের বোতল, থার্মোকলের থালা যেমন পরিবেশ দূষিত করে এমন জিনিস পত্র সরকারের তরফে বর্জন করার নির্দেশ থাকলেও নজরদারির অভাবে তা সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছেনা।সুন্দরবনের সবুজ ম্যানগোভ ঘেরা জঙ্গলের মধ্যে ও নদীতে নিষিদ্ধ জিনিসপত্র যত্রতত্র পড়ে রয়েছে।এর ফলে সুন্দরবনের মনোরম পরিবেশ দূষিত হচ্ছে বলে মনে করছেন পরিবেশ কর্মীরা।
সুব্রত চক্রবর্তী সৌমিত্র মণ্ডল শিক্ষক লুৎফর রহমান দের কথায় আমরা যদি আমাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিক কিংবা বজ্র পদার্থ গুলি ভ্যাটে কিংবা নির্দিষ্ট জায়গায় রাখি তাহলে এই পর্যটন কেন্দ্রের পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব।স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনতা সরদার কথায় ও কুলতলী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুপা সরদার ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ শাহাদাত শেখের কথায় আমরা যথাযথ ব্যবস্থা তড়িঘড়ি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন ভাবে সেজে উঠেছে এই পর্যটন কেন্দ্র কৈখালী।