ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে চুরি যাওয়া ফোন, গুসকরাতে
রাবণ মণ্ডল, গুসকরা :
হল টা কি? এতো মানুষ কেন হঠাৎ হাজির হল আউশগ্রাম থানার, গুসকরা পুলিশ ফাঁড়িতে! আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্টের বিকেলে হঠাৎ এতো মানুষ কেন প্রশাসনের জায়গায়, স্বভাবতই কৌতূহল জেগেছে পথচলতি সাধারণ মানুষের মনে।
তারপরই খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেল, আউশগ্রাম থানার পুলিশের বিরাট সাফল্যের কথা। দীর্ঘদিন ধরে গুসকরা শহর এলাকায় মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ আসছিল, গুসকরা ফাঁড়িতে। পুলিশ যে অভিযোগ নিয়ে চুপ করে বসে থাকেনি, তার প্রমাণ মিললো এদিন সন্ধ্যাবেলা। চুরি যাওয়া ১৪টি মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দিল এদিন আউশগ্রাম থানার গুসকরা পুলিশ ফাঁড়িতে এক সভা করে, পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এ এক বিরাট সাফল্য!
বৃহস্পতিবার আনুমানিক বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ গুসকরা ফাঁড়িতে একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে প্রকৃত মালিকদের খোঁজ খবর নিয়ে, তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন হাতে হাতে মোবাইল গুলি তুলে দেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেই চুরি যাওয়া ফোন ফিরিয়ে দেওয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের ডিএসপি ডিঅ্যান্ডটি সুব্রত মন্ডল, আউশগ্রাম থানার আইসি শান্তনু অধিকারী, গুসকরা ফাঁড়ির ওসি বিশ্বনাথ দাস সহ অনান্যরা পুলিশ কর্মীরা। সেই সঙ্গে সচেতনতা প্রাথমিক পাঠ দেন পুলিশ আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, তারা বলেন মোবাইল হারালে একেওকে না জানিয়ে সরাসরি থানায় এসে অভিযোগ জানান। সঠিক অভিযোগ জানানোর এদিন পরামর্শ দেন জেলা পুলিশের ডিএসপি ডিঅ্যান্ডটি সুব্রত মন্ডল। সেই সঙ্গে পুলিশ আধিকারিকরা বলেন, ফোন কেনার সময় সঠিক কাগজপত্র সংগ্রহ করে নেবেন। পরবর্তী কালে ফোন চুরি গেলে, তা থেকে উদ্ধার করতে সুবিধা হবে বলেও জানান তারা।
এদিন পুলিশের এমন উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের আউশগ্রাম থানা নজির করলো বলেও স্থানীয় মানুষরা বলেন। ফোন ফিরে পাওয়া কয়েক জন বলেন, আউশগ্রাম থানার গুসকরা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে ধন্যবাদ। আমাদের ফোন তাদের জন্য ফিরে পেলাম। অনেকেই বলছেন, আশা ছেড়ে দিয়ে ছিলাম। ফোন ফিরে পাওয়াতে আনন্দই হচ্ছে।