হাসান লস্কর :
রুপোর দাম কেজি প্রতি এক লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন মগরাহাটের ছোট ও মাঝারি রুপোর কারিগর ও ব্যবসায়ীরা। কারণ সামনে পুজো। কিন্তু শারদোৎসবের তিন মাস আগেও সেভাবে মিলছে না অর্ডার। মহাজনদের কাছে রুপোর তৈরি সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হলেও, সেগুলি বিক্রি হচ্ছে না। ফলে সেই অর্ডারের টাকাও তাঁরা পাচ্ছেন না। সব মিলিয়ে তীব্র উৎকণ্ঠায় রয়েছে দু'শোর বেশি পরিবার। মাসখানেক আগেই কেজি প্রতি এক লক্ষ টাকার উপরে দাম চড়েছে রুপোর। কখনও সেটা এক লক্ষ পাঁচ হাজার হচ্ছে, কখনও এক লক্ষ ১০ হাজার। সাধারণত যেসব ব্যবসায়ী মহাজনদের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্ডার দেন, তাঁরা দামের ওঠানামার কারণেই সেভাবে আসছেন না। আর যাঁরা আসছেন, তাঁরা অল্প সামগ্রী নিয়েই চলে যাচ্ছেন। এমন অবস্থায় নতুন করে রুপোর গয়না বা অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করার অর্ডার নেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না অনেকেই। ফলে মগরাহাট দু'নম্বর ব্লকের ধামুয়া উত্তর, ধামুয়া দক্ষিণ ও হোটর অঞ্চলের বহু রুপোর কারিগরের পরিবারে কাজকর্ম এখন প্রায় বন্ধের মুখে। সৌমেন হালদার, কল্যাণ মণ্ডলের মতো কারিগরদের বক্তব্য, কতদিন এমন পরিস্থিতি চলবে জানি না। এর একটা সুরাহা দরকার। কাজ না পেলে খাব কী! গ্রামের কিছু জায়গায় পুরনো অর্ডারের কাজ চলছে। কোথাও মেশিন বন্ধ একেবারে। মগরাহাট সিলভার ফিলিগ্রি ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোঅপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান বলেন, এখন খুব কঠিন সময় চলছে। ছোট কারিগরদের এক প্রকার কাজ নেই বললেই চলে। কারণ তাঁদের পুঁজি কম। বাড়তি টাকা দিয়ে রুপো কিনতে পারছেন না। তার উপর ব্যাঙ্ক থেকে ঋণও পাচ্ছেন না। তাই আবেদন, সরকার যদি এই অবস্থায় পাশে দাঁড়ায়, তাহলে খুব ভালো হয়।