বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সিআইডির সামনে হাজির হন।
তণয় মুখার্জী :
কয়েকটি রাস্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংক থেকে ১.৯৪ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে বিইউ (Burdwan University) -এর প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ নিমাই চন্দ্র সাহাকে সিআইডি অফিসাররা তলব করেছিলেন। ডঃ সাহা তার আইনি পরামর্শদাতার সাথে গতকাল সকাল ১০.৩৩ মিনিটে একটি ই-রিকশায় করে বর্ধমান শহরের ভাঙ্গাকুঠিতে অবস্থিত সিআইডি অফিসে পৌঁছান।
তদন্তের সময়, ব্যাংক দাবি করে যে সংশ্লিষ্ট বিইউ-এর (Burdwan University) কর্মকর্তাদের পরামর্শ নোট এবং স্বাক্ষরের ভিত্তিতে তিনটি স্থায়ী আমানত বাতিল করা হয়েছে। তহবিল উত্তোলন করা হয়েছে তা সুনিশ্চিত করার পর বিইউ (BU) বর্ধমান থানায় একটি এফআইআর দায়ের করে। পরে জানা যায় যে জাল নোট শিট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে তহবিলগুলি একজন ঠিকাদারের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
এদিকে এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ তদন্তেও বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। তা খতিয়ে দেখার জন্যে হাইকোর্ট সিআইডিকে (CID) নির্দেশ দেয়। তার ভিত্তিতেই সিআইডি (CID) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ নিমাই চন্দ্র সাহাকে বর্ধমানে তাদের দফতরে তলব করেছিল। প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ নিমাই চন্দ্র সাহার আইনজীবী প্রদীপ্ত সিদ্ধান্ত বলেন, "বেশ কিছু তথ্য জানতে চান সিআইডির(CID) তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কোনও ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়নি, তাঁর মক্কেল তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। আগামী দিনেও তিনি এটাই করবেন।"
পাশাপাশি তিনি এও জানান, সম্ভবত আবার আগামী ৩০ জুন সিআইডি (CID) বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ নিমাই চন্দ্র সাহাকে ফের তলব করতে পারে। সিআইডির(CID) রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৬টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে, ৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া সকলেই এখন জামিনে মুক্ত এছাড়াও দু'জন আগাম জামিন নিয়েছেন। একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে টাকা নয়ছয় করা হয়েছে বলে সিআইডির (CID) দাবি।