গুজরাটে সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনার পিছে রয়েছে একাধিক যান্ত্রিক সমস্যা — এরকমটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রাথমিক রিপোর্ট ও সিসিটিভিতে যা প্রকাশিত হয়েছে, তা অনেকটাই সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক — যা দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে রানওয়ের একেবারে শেষ অংশে গিয়ে বিমানটি টেক অফ করে, যে কারণে প্রবল থ্রাস্ট ব্যবহার করতে হয় ও ধুলো ওড়ে। অপর দিকে, দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীও জানিয়েছে যে স্বাভাবিকের চাইলে অনেক বেশি থ্রাস্ট দেওয়া হয়েছিল।
পাইলটরা অত্যন্ত অভিজ্ঞ হলেও, আধুনিক বিমানে ভুল ফ্ল্যাপ সেটিং বা যান্ত্রিক সমস্যা হলে তা তাৎক্ষণিক অ্যালার্ম বাজাতে শুরু করে — কিন্তু এই ক্ষেত্রে তা হয়নি বলেও জানা যাচ্ছে।
সাধারণত ১০০–২০০ ফুট উচ্চতায় ল্যান্ডিং গিয়ার গুটিয়ে নেওয়া হয়, কিন্তু এই ক্ষেত্রে ৬০০ ফুট পর্যন্ত তা বাইরে ছিল।
পাওয়ার ফেলিওর হলে RAT (Ram Air Turbine) ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে, কিন্তু এই ক্ষেত্রে তা ব্যবহৃত হয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক অনুমানে কিছু যান্ত্রিক সমস্যা ছিল, যদি না এর পিছে নাশকতা থাকে।
কোনো চূড়ান্ত কারণ প্রকাশিত হবার আগে ব্ল্যাক বক্সের তথ্য সম্পূর্ণরূপে বিশ্লেষণ করতে হবে।
এক সপ্তাহ থেকে ২–৩ মাস পর্যন্তও লেগে যেতে পারে এই তদন্ত, যার অংশ হিসেবে অনেকগুলো ট্রায়াল ও সিম্যুলেশন সম্পাদন করা হবে।