Select language to read news in your own language

পানীয় জল সহ সরকারি প্রকল্পের টাকা হচ্ছে তছরুপ, চলছে কৃত্রিমভাবে পুকুর খনন


সোমনাথ চৌধুরী :

সম্প্রতি জেলা জুড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় জমি খনন করে চলছে কৃত্রিম ভাবে পুকুর নির্মাণ,বাদ পড়ছে না কৃষি জমিও।গোটা দেশের ধান, পাট সহ সরিষার মোট উৎপাদনে অন্যতম বাংলার অবদান।আর বাংলার কৃষিজাত পন্য উৎপাদনে দঃদিনাজপুর জেলার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ।কিন্তু বর্তমানে কৃষিজমিতে কৃত্রিম পুকুর খনন চিন্তা বাড়াচ্ছে উৎপাদনে।বিঘাকে বিঘা কৃষিজমি খনন করে নির্মাণ করা হচ্ছে পুকুর ।কৃষিজাত পন্য উৎপাদনের চাইতে সেই জমিতে মৎস্যচাষ অনেকটাই লাভদায়ক, তাই এলাকার কৃষক অনবরত খনন করছে কৃষিজমিতে পুকুর।


প্রসঙ্গত,প্রতিটি কৃত্রিম ভাবে খনন করা পুকুরে জল সরবরাহ করতে বসানো হচ্ছে মার্শাল ,যা এলাকায় তৈরী করছে পানীয় জলের সংকট ।পাশাপাশি ,সরকারকে অবগত না করেই কৃষিজমিকে রূপান্তর করা হচ্ছে পুকুরে, ফলস্বরূপ জমির শ্রেনী পরিবর্তনের জন্য প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভূমি সংস্কার দপ্তর। এছাড়াও,কৃষিজমি পুকুরে রূপান্তর হলেও সরকারি কাগজে তা রয়ে যাচ্ছে কৃষিজমির শ্রেনীতেই।ফলস্বরূপ কৃত্রিম ভাবে পুকুর খনন করে মৎস্যচাষের পরেও কৃষক বন্ধু সহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে কৃষকরা।

উল্লেখ্য,জেলার দঃদিনাজপুর জেলার তপন, কুমারগঞ্জ, বংশীহারী সহ কুশমন্ডির বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চলছে কৃত্রিম পুকুর খনন।আর সবটাই চলছে প্রশাসনের চোখের সামনে।বেশিরভাগ জায়গাতে খননকার্যের সাথে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে ভূমি সংস্কার দপ্তরের কিছু আধিকারিকের গোপন আতায়াতে চলছে এমন কাজ।


এভাবেই পুকুর খনন চলতে থাকলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দেখা দেবে পানীয় জলের সংকট সহ কৃষিজাত পন্যের উৎপাদনে ঘাটতি এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

ads banner


ads banner

Bangla eDaily to resume soon