নয়াদিল্লি: ভারতের কৃষি খাতে সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তি ও নীতির সমন্বয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যা দেশের কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে গমের উৎপাদন ১১৭.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টনে পৌঁছেছে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। চালের উৎপাদনও ১৪৯ মিলিয়ন মেট্রিক টনে পৌঁছেছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা 'প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা' এবং 'পুনর্গঠিত আবহাওয়া ভিত্তিক ফসল বীমা স্কিম' ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৬৯,৫১৫ কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন করেছে। এছাড়া, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের জন্য 'ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি ফান্ড' (FIAT) গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয় নাগপুরে 'ক্লিন প্ল্যান্ট' প্রকল্পের আওতায় রোগমুক্ত কমলার চারা উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বছরে ৮ কোটি রোগমুক্ত চারা সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষকদের সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (DAP) সারের জন্য অতিরিক্ত ৩,৮৫০ কোটি টাকার ভর্তুকি অনুমোদন করেছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কৃষকরা সারের দাম বৃদ্ধির চাপ থেকে রক্ষা পাবেন।
মধ্যপ্রদেশ সরকার ইন্দোরে 'কৃষি টেকনোলজি হাব' স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই হাবের মাধ্যমে কৃষিতে জেনোমিক্স, ড্রোন প্রযুক্তি, বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্সসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পটি আইআইটি ইন্দোর ও আইসিএআর-এর সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে।
এই পদক্ষেপগুলো ভারতের কৃষি খাতে প্রযুক্তি ও নীতির সমন্বয়ে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করছে, যা কৃষকদের জন্য উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।