সোমনাথ চৌধুরী
"census" বা "জনগণনা" শব্দটি বাংলা ভাষায় বলা হলেও এর প্রতিশব্দ "আদমশুমারি"। ভারতে প্রথম জনগণনা ১৮৭২ সালে অনুষ্ঠিত হয়, তবে এটি ছিল একটি অ-সমলয় জনগণনা। প্রথম সমলয় জনগণনা ১৮৮১ সালে অনুষ্ঠিত হয়। জনগণনা একটি সরকারি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি নির্দিষ্ট এলাকার জনগণের সংখ্যা, তাদের বৈশিষ্ট্য (যেমন লিঙ্গ, বয়স, পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি) এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক গণনা ও তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
ভারতে, প্রতি দশ বছর পর পর জনগণনা অনুষ্ঠিত হয়।২০১১ সালে সর্বশেষ জনগণনা হয়েছে। ২০২৩ সালে জনগণনা হওয়ার কথা থাকলেও, তা এখনো শুরু হয়নি। চলতি বছরে জনগণনা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জনগণনার প্রধান উদ্দেশ্য হল:
সরকারী পরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণ:
জনসংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য সরকারের নীতি প্রণয়ন ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করে
জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য জানা:
লিঙ্গ অনুপাত, সাক্ষরতার হার, পেশা ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
বিভিন্ন অঞ্চলের জনসংখ্যা বণ্টন বোঝা:
শহর ও গ্রামের জনসংখ্যার তুলনা করে উন্নয়নের পরিকল্পনা করা যায়।
ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি:
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এবং বিভিন্ন অঞ্চলের জনসংখ্যার গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়, যা ভবিষ্যতের পরিকল্পনা তৈরিতে কাজে লাগে।
সংরক্ষিত আসনের পুনর্বিন্যাস:
নির্বাচনী এলাকা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংরক্ষিত আসনের পুনর্বিন্যাসেও জনগণনার তথ্য ব্যবহৃত হয়।
উল্লেখ্য, এবারের আসন্ন জনগণনায় নতুন চমক! থাকছে ৬টি নয়া প্রশ্ন।প্রথমত, বাড়িতে পানীয় জল কীভাবে আনা হয় বা আসে। দ্বিতীয়ত, রান্নার জন্য বাড়িতে গ্যাস কানেকশন নেওয়া হয়েছে, নেওয়া হলে তা কোন ধরনের।তৃতীয়,বাড়িতে মোবাইলের সংখ্যা কয়টি, কার কার রয়েছে। চতুর্থ, ইন্টারনেট কানেকশন বাড়িতে আছে। পঞ্চম, কোন ধরনের শস্য আসে বাড়িতে ও ষষ্ঠ,বাড়িতে কোন ধরনের যানবাহন ব্যবহার করা হয়।