মায়ানমারের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে জালিয়াতির কারখানা বা তথাকথিত ‘স্ক্যাম সেন্টার’। আন্তর্জাতিক সংস্থা ASPI (অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট) জানিয়েছে, এখানে প্রায় ১ লক্ষ মানুষকে জোর করে আটকে রেখে অনলাইন প্রতারণার কাজে লাগানো হচ্ছে।
ভুক্তভোগীদের অধিকাংশকে ভুয়ো চাকরির বিজ্ঞাপন, বিনিয়োগের প্রলোভন কিংবা প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদ দেখিয়ে টেনে আনা হয়। পরে তাদের বাধ্য করা হয় অনলাইন প্রতারণা চালাতে। আধুনিক প্রযুক্তির আশ্রয়ে এই প্রতারণা সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে—স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট সংযোগ, ড্রোন নজরদারি, সুরক্ষিত দুর্গের মতো ভবন এবং প্রলুব্ধকর সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এই নেটওয়ার্ক।
ASPI-র রিপোর্ট বলছে, ২০২১ সালে যেখানে মাত্র ১১টি ‘স্ক্যাম সেন্টার’ ছিল, বর্তমানে তার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭-এ। অনেককে উদ্ধার করা গেলেও শত শত মানুষ এখনও বন্দী অবস্থায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, মায়ানমারের এই ‘স্ক্যাম ইকোনমি’ দেশটির বিভিন্ন জোটের জন্য এখন বড় অর্থনৈতিক আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক মহল এখন এই প্রশ্ন তুলছে—মানবপাচার ও অনলাইন প্রতারণার এই অন্ধকার সাম্রাজ্য রুখতে মায়ানমারের রাজনৈতিক নেতৃত্ব কতটা পদক্ষেপ নেবে?

