মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আবহে কাতারের রাজধানীতে জরুরি আরব ও ইসলামিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বায়ু হামলার ঘটনায় কাতারের প্রতি সংহতি জানাতে একত্রিত হয়েছেন আরব বিশ্বের শীর্ষ নেতারা। ইসরায়েল দাবি করেছে, কাতারে অবস্থানরত হামাসের সদস্যদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই হামলা চালানো হয়। তবে কাতার সরকারের অভিযোগ, এ হামলা ছিল তাদের সার্বভৌমত্বে সরাসরি আঘাত।
সম্মেলনে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, ক্ষমতার ভারসাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার ভবিষ্যৎ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কাতারের সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা জোরালোভাবে তোলা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সম্মেলন আরব বিশ্বের একতা প্রদর্শনের পাশাপাশি ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক নীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন তুলছে। মিশর, সৌদি আরব, ইরান-সহ একাধিক দেশ কাতারের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরাহমান আল-থানির নেতৃত্বে আয়োজিত এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও অন্যান্য কূটনৈতিক শক্তির মধ্যস্থতা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বন্দি মুক্তি এবং মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সমঝোতার পথ খুঁজে বের করা। সম্মেলনের এই উদ্যোগ ইঙ্গিত দিচ্ছে, আগামী দিনে কাতারকে ঘিরে পশ্চিম এশিয়ার ভূরাজনীতি আরও জটিল হতে চলেছে।

