সোমনাথ চৌধুরী :
আন্দোলনের জেরে উত্তাল রাজপথ! দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ২০২২ সালের টেট উর্ত্তীণরা নেমেছিল রাস্তায় চলল বিধানসভার সামনে তুমুল বিক্ষোভ।রাস্তায় বসে আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন ,'পাশ করে কি ভুল করেছি ?'।
মদিও শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান,"অর্থহীন এই আন্দোলন।খুব দ্রুত পর্ষদ যেখানে শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে,দু-এক দিনের মধ্যে যা বের হবে তার আগে এই আন্দোলনের পেছনে কী উদ্দেশ্য আছে আমি জানি না।"
এরপরেই আন্দোলনকারীরা পৌঁছে গেলেন কালিন্দি এলাকায় ,যেখানে অবস্থিত শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি।তবে সেখানেও তাঁদের পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
যশোর রোডের পাশেই পোস্টার সহ প্ল্যাকার্ড নিয়ে আন্দোলনকারীরা স্লোগান শুরু করে দেন ।নেপালের পরিস্থিতির সঙ্গে টানলেন তুলনা।বিদেশ গাজা নামের এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, "নেপালের গণ অভ্যুত্থানের পিছনে রয়েছে বেকারত্ব ,দূর্নীতি সহ স্বজনপোশন।আর পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও প্রাসঙ্গিক এই তিনটি বিষয়।আর এই তিন পরিস্থিতির কারণে নেপালে গণ আন্দোলনের দ্বারা সরকার উৎখাত হল।আমাদের উদ্দেশ্য সরকারের বিরোধিতা করা নয়।দীর্ঘদিন একটু একটু করে জমছে ক্ষোভ।এই ক্ষোভ কথায় আছড়ে পরবে তা কেউ জানে না।
যদি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পুজার আগে প্রকাশিত না হয়, সেক্ষেত্রে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন আন্দোলনকারীরা।এছাড়াও এক সপ্তাহের ডেডলাইন বেধে দিয়ে আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি ,উক্ত সময়কালের মধ্যে যদি ৫০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত না হয় তাহলে এর থেকেও আরও বেশি সংখ্যক চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে নবান্ন অভিযান হবে।

