সাতসকাল নিউজ :
শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের পর এবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নেপালের ।সংসদ ভবনের প্রাচীর ভেঙে ঢুকে পড়ল বিক্ষোভকারীরা।ঠিক কী কারনে প্রতিবাদে নেমেছে সেখানকার তরুণ প্রজন্ম।কী করনে সরকার প্রতি এতো ক্ষোভে ফুসছে Gen-Z গোষ্ঠী।
জানিয়ে রাখি, গত ৪ ঠা সেপ্টেম্বর নেপালে ফেসবুক ,হোয়াটস অ্যপ, ইউটিউব, এক্স সহ প্রায় সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মকে নিষিদ্ধ করেছে নেপাল সরকার।ফলস্বরূপ সে দেশের রাজধানী কাঠমান্ডু সহ বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করেছে।শুধু তাই নয় সে দেশের Gen-Z সংগঠনের ছেলে - মেয়েরা নেপালের সংসদেও ঢুকে পড়ে। পুলিশ কাঁদানি গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেও তাদের আটকাতে পারেনি।বরং তাদের এই প্রতিবাদ মিছিলের জেরে পরিস্থিতি এতোটাই অশান্ত হয়ে উঠেছিল যে গোটা কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।সূত্রে মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী , নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে ১৪ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে আহত প্রায় শতাধিক।আন্দোলনের মূল কারন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের উপর নিষেধাজ্ঞা।আর এই প্রথম এমন একটি বিষয় নিয়ে রাস্তায় নেমে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করলেন Gen-Z-র ছেলে মেয়েরা।তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া এই আন্দোলন বর্তমানে একটি বৃহৎ দূর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।নেপালে কেপি শর্মা ওলির সরকারের বিরুদ্ধে দূর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ ছিলই। আর সেই ক্ষোভ এভাবেই উগরে দিচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ,এমনটাই মত বুদ্ধিজীবী মহলের।আন্দোলনের পরিস্থিতি বেগতিক বুঝেই তড়িঘড়ি মন্ত্রীসভার বৈঠক ডাকেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।
বর্তমানে নেপালের পরিস্থিতি আরও শোচনীয়। ইস্তফা দিলেন সেই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির কাছে ইতিমধ্যেই ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। এদিকে রাত বাড়লেও আন্দোলনের ঝাঁঝ কমেনি। এখনও নেপালের রাস্তায় রাস্তায় চলছে বিক্ষোভ।
উল্লেখ্য ,সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে দেশীয় ও বিদেশীয় অনলাইন প্লাটফর্ম গুলিকে সরকারের সঙ্গে নথিবদ্ধ হভে হবে যাতে সমস্ত অবাঞ্ছিত কন্টেন্টে নজরদারি চালানো যায়।যদিও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে সমস্যা হওয়ার বিষয়টি নতুন নয়।২০২০ সাল থেকে সে দেশে বহু পিটিশন জমা পড়েছে লাইসেন্সহীন প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন ও কন্টেন্ট প্রচার করার অভিযোগে। এতোদিন পর সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিল নেপাল সরকার।তবে যে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এমনটা নয়।জানা গিয়েছে ,টিকটক,ভাইবার, উইটক,নিমবুজ,টেলিগ্রাম সহ গ্লোবাল ডায়রিকে নিষিদ্ধ করা হয়নি।
যদিও নেপালের বিরোধী দলগুলির দাবি ,তারা যাতে কোনভাবেই এই সব প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে প্রতিবাদ না জানাতে পারে ,তা নিশ্চিত করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বর্তমান সরকার।