মধ্যপ্রদেশের ছোট্ট গ্রাম নন্দলালপুর থেকে উঠে এসে বিশ্বের নজর কাড়লেন ১৮ বছরের ললিত পাতিদার। বিরল রোগ হাইপারট্রাইকোসিস বা পরিচিত ভাষায় ‘ওয়ারউল্ফ সিন্ড্রোম’-এ আক্রান্ত ললিতের মুখের প্রায় ৯৫ শতাংশই ঘন লোমে ঢাকা। এই শারীরিক অবস্থার কারণে শৈশব থেকে তাঁকে নানা কটূক্তি, বিদ্রূপ আর সামাজিক বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে হাল ছাড়েননি ললিত।
অবিশ্বাস্য মানসিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন, রোগ তাঁকে পিছিয়ে দিতে পারে না। সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাঁকে ‘ভারতের সবচেয়ে লোমযুক্ত মুখের মানুষ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। একদিকে এটি ললিতের জন্য বৈশ্বিক স্বীকৃতি, অন্যদিকে সমাজের জন্য বার্তা—বৈচিত্র্যই মানবতার সৌন্দর্য।
গিনেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ললিতের অসাধারণ সাহস ও ইতিবাচক মনোভাব তাঁকে শুধু রেকর্ডবুকে নয়, অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে দিয়েছে। নিজেকে নিয়ে গর্বিত ললিত বলেন, “আমি চাই আমার জীবন থেকে মানুষ শিখুক—কোনও প্রতিকূলতাই স্বপ্ন থামাতে পারে না।”
ললিত এখন পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজে সচেতনতা ছড়াতে চান। বিরল রোগ নিয়ে মানুষের কুসংস্কার ভাঙা এবং সকলকে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার অনুপ্রেরণা দেওয়া—এটাই তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য।


