সোমনাথ চৌধুরী :
মিগ ২১ চন্ডীগড় ঘাঁটি থেকে অবসর নেবে চলতি বছরের ১৯শে সেপ্টেম্বর ।সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরী ৬০ - এর দশকের এই যুদ্ধবিমানের অবসরের পর ভারতীয় বায়ুসেনাবাহিনীতে ফাইটার জেটের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ২৯ শে ।এদিকে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অন্তত ৪২ টি স্কোয়াড্রন থাকা উচিত এমনটাই মত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের। যার ফলস্বরূপ কপালে কিছুটা চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ।উল্লেখ্য ,একটি স্কোয়াড্রন তৈরী হয় ২০ টি ফাইটার জেট নিয়ে। আর এবার বিদেশ থেকে ৪০-৬০ টি যুদ্ধবিমান আনার পরিকল্পনা করছে, সেই ঘাটতি পূরনে ভারত সরকার ।এমন আবহেই রাশিয়ার এই ব্রহ্মাস্ত্রের প্রস্তাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ভারত সরকার।
আগে থেকেই আধুনিক জেটের তালিকায় দুটি নাম ছিল, একটি আমেরিকার ‘এফ-৩৫ লাইটনিং টু’ এবং অন্যটি রাশিয়ার ‘SU-57’। তবে সম্প্রতি ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের (India) চলা শুল্কযুদ্ধের জেরে মার্কিন এই যুদ্ধবিমান নিয়ে এই মুহুর্তে নয়াদিল্লি কোনওরকম আগ্রহ দেখাচ্ছে না। পাশপাশি, ‘এফ-৩৫’ নিয়ে মোদী সরকারের আগ্রহ না দেখানোর নেপথ্যে আরও একটি মূল কারণ হল, ট্রাম্পের পাকিস্তান প্রীতি। ট্রাম্পের সঙ্গে ইসলামাবাদের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা।
অপরদিকে ,ভারতকে বেশ কিছু মেগা অফার দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার তরফে। SU-57 যুদ্ধবিমান এর মধ্যে অন্যতম ।এই স্টেলথ ক্যাটাগরির যুদ্ধবিমান ২০২০ সাল থেকে রয়েছে রুশ বায়ুসেনা বাহিনীর বহরে ।অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমানটি মাঝ আকাশে ডগফাইট থেকে শুরু করে শত্রু ঘাঁটি ধ্বংস করা সব সর্বক্ষেত্রেই সক্ষম ।রাডারে ধরা না পড়া এই ফাইটার জেট ভারতের হাতে আসা মানে পাকিস্তানের ঘুম উড়তে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ।রাশিয়া ভারতকে শুধু সরবরাহই নয় ,এই যুদ্ধবিমানের সোর্স কোড দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে। ফলস্বরূপ, উক্ত যুদ্ধবিমানে ইচ্ছা মতো হাতিয়ার ব্যবহার করতে ভারতীয় বায়ুসেনা।
এর সাথে ভারতের মাটিতে যৌথ উদ্যোগে এই ফাইটার জেট তৈরী করার অফার দিয়েছে রাশিয়া ।যার ফলে ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পে আত্মনির্ভরতা আরও মজবুত হবে ।

