নরেন্দ্রনাথ কুলে
নেতাদের খেয়োখেয়ি নিয়ে রাজনীতির পরিবেশে মানুষ বিবেচনাশক্তি দিয়ে যদি বিচার করে তাহলে নির্বাচন ব্যাপারে মানুষের অনীহা তৈরি হতে পারে । কিন্তু মানুষের সেই অনীহা তৈরি হয় না । তাই মানুষ শুধু তাঁর ভোটাধিকারের দায়িত্ব পালন করে যায় । সেই অধিকার মানে এক গণতান্ত্রিক অধিকার বলে তাঁকে গর্ব করতে হয় । আর মানুষের এই অধিকারে নেতাদের খেয়োখেয়ির অধিকার জন্ম নেয় । সেই অধিকারের সত্যতা নিজেরাই প্রকাশ করে, কে বড় চোর আর কে ছোট । সব ভোটেই তার প্রচারের ব্যতিক্রম হয় না । নির্বাচন এলে ক্রমশঃ নিজেরাই নিজেদেরকে প্রতিশ্রুতির কল্পতরু বলে তুলে ধরে সর্বত্র । কে বড় কে ছোট প্রমাণ করার চেষ্টা চলে । তবে তৃণমূল সুপ্রিমো তাঁর দলের নেতাদের চুরি নিয়ে এর আগে তিনি মহান হয়েছেন । বলেছিলেন যাঁরা টাকা কামাতে চান কামান কিন্তু দলটা করবেন না । তা কে শুনেছে, কে জানে ? আবার দল করে কেউ যদি টাকা কামায়, আর যদি দলের জন্য টাকা ছড়ায় তাহলে দলের সম্পদ হয়ে উঠতে তখন আর কোনো বাধা থাকে না ।
সিন্ডিকেট থেকে কাটমানি সহ নানা দুর্নীতির কলঙ্ক তৃণমূলের গায়ে আর স্পর্শ করে না । একটা প্রবাদ আছে, চুরি করা মহৎ কর্ম যদি না পড়ো ধরা । যতই ইডি সিবিআই ধরতে আসুক, আসলে মানুষের কাছে ধরা পড়েনি । এটাই তৃণমূলের মহত্ত্ব । সব ভেসে যায় তাঁর সরকারের জনমোহিনী প্রকল্পের স্রোতে । তবে ভোটের সময় দুর্নীতি, কাটমানি বা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তৃণমূল সুপ্রিমোর হুঁশিয়ারি জনমোহিনী প্রকল্প নয় বটে, কিন্তু তা একপ্রকার জনমোহিনী কথা বটে । জনমোহিনী কথার জলে এমন দুর্নীতিপরায়ণ বিধায়ক নেতারা ভোটে শুদ্ধ হয়ে যায়, দল শক্তি ফিরে পায়। অসৎ ও দুর্নীতিপরায়ণ নেতা মন্ত্রী পরিবেষ্টিত হয়েও তিনি সততার কথা বলতে পারেন । তিনিই নাকি দলের সততার প্রদীপ !

