রাবণ মণ্ডল ও চৈতালি কর্মকার :
দু কিমি কাঁচা রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করেন এলাকার মানুষ। সে নিয়ে এলাকার বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ চরমে। শুধু এলাকার মানুষ নয় এবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আউশগ্রাম ২ নং ব্লকের রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বন্দনা ঘোষও। তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় বিধায়ক তেমন কোনো কাজ করেনি। শুধু তাই নয় আমার গ্রামের দু কি. মি র বেশি একটি মাটির রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে পরে রয়েছে। তিনি বার বার রাস্তা মেরামতির কাজ করে দেবার কথা দিয়েও দেননি। এই নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ চরমে।
আউশগ্রাম ২ নং ব্লক এলাকাটি জেলার একমাত্র জঙ্গলমহলের আদিবাসী অধ্যষুত এলাকা। সেই এলাকায় তেমন ভাবে কোনো উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ আদিবাসী সমাজের মুরুব্বিদের।
বহু রাস্তা জলে জলময় হয়ে পরে রয়েছে বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দারের সে নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। তিনি আমাদের আউশগ্রামের শতবর্ষ প্রাচীন নাটকের ক্লাবের নাট চালার কাজ দিয়েও তা কেটে দিয়ে নিয়ে চলে গেছেন আউশগ্রাম ১ নং ব্লকে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগটি করেন শিক্ষক তথা রামনগর বান্ধব সমিতির সম্পাদক শিবাজী মিত্র। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তাকে তেল মেরে মেরে আমরা ক্লান্ত। আমাদের সবার আত্মসম্মান আছে। আমরা তাকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে আজকে বিপাকে পরেছি।
ক্লাবের সভাপতি তথা পদ্মশ্রী শিক্ষক সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ভাই মিণ্টু চ্যাটার্জী বলেন, আমাদের শতবর্ষ প্রাচীন নাটকের গ্রামীণ এই ক্লাব আউশগ্রামের গর্ব। আমাদের সঙ্গে এই মিথ্যাচার কেন করলেন বিধায়ক! এবার নির্বাচনে তার জন্যই দলের ফল খারাপ হবে।
এদিকে আউশগ্রামের রামনগর এলাকায় বেশ কয়েকটি রাস্তা নির্মাণ করার কথা দিয়ে ছিলেন বিধায়ক। সেই সব রাস্তা গুলোর কাজও বিশবাঁও জলে, এই নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ চরমে।
গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা আস্তিক মণ্ডল জানান, আমরা তৃণমূলের জন্ম লগ্ন থেকে কাজ করছি দলের হয়ে। আজকে আমাদেরই রাস্তা হল না। বিধায়কে ভোটে জেতালেও তার মুখ আমাদের পাড়ার মানুষরা কেউ দেখেনি আজও। ভোটের আগে রাস্তা না হল, আমরা এবার ভোট দিতে যাব না! বিধায়ক রাস্তা করে না দেওয়া পর্যন্ত তাকে আর বিশ্বাস করি না। এদিকে আউশগ্রাম ২ নং ব্লকের বিডিও বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তা খতিয়ে দেখে উপরে জানানো হবে। সূত্রের খবর আউশগ্রাম ২ নং ব্লকের রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর আদিবাসী পাড়া থেকে গোপালপুর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কি.মি রাস্তার বেহাল দশা। তারা কাঁদা জল পেরিয়ে আসাযাওয়া করে। রোগীদের খাটিয়া করে তুলে নিয়ে যেতে হয় বলে জানান গোপালপুরের বাসিন্দা পার্থ মণ্ডল।
শুধু তাই নয়, ওখানকার বাসিন্দা অভিজিৎ মণ্ডলদের অভিযোগ, আজকাল প্রতিদিনই রাতের দিকে কারেণ্ট থাকছে না। ফলে কাঁদা জলে ভরা রাস্তায় বাড়ির বাইরে বের হতে ভয়। যদি সাপে কামড়ে দেয়। এলাকায় কোনো হসপিটালও নেই।