সোমনাথ চৌধুরী :
খবরটা সামনে এসেছিল প্যানেল বাতিলের সময় ।বাতিল শিক্ষকদের তালিকায় নাম ছিল খোদ চোপড়ার বিধায়ক কন্যার ।কমিশনের আদালতে পেশ করা হলফনামায় বেআইনি নিয়োগ বলা হয়েছিল চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের কন্যা রোশনারা বেগমকে।
রোশনারা ২০১৮ সাল থেকে কালীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন ।তাঁর নিয়োগকে বেআইনি হিসেবে আদালতে জমা করা হলফনামায় স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন ।পাশাপাশি গত কালের কমিশন দ্বারা প্রকাশিত ১৮০৪ জনের প্রথম তালিকায় নাম ছিল না রোশনারার।এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই কমিশন দ্বারা প্রকাশিত তৃতীয় তালিকায় যুক্ত হয় বিধায়ক কন্যার নাম ।
কমিশন দ্বারা প্রকাশিত তালিকায় শুধু বিধায়ক কন্যার নাম রয়েছে তেমনটা নয় ।তালিকায় যেমনটা রয়েছে শাসকদলের অঞ্চল সভাপতির নাম তেমনি রয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলারের নামও।হুগলির খানাকুলের জেলা পরিষদের সদস্য তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা বিভাস মালিকের নামও রয়েছে উক্ত তালিকায়,সেই সাথে নাম রয়েছে তাঁর স্ত্রীরও ।এছাড়াও নাম রয়েছে সেই তালিকায় হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য সাহিনা সুলতানার,হিঙ্গলগঞ্জের তৃনমূল সভানেত্রীর মেয়ে প্রিয়াংঙ্কা মন্ডলের ।রয়েছে পিংলা থানার জলচক অঞ্চলের তৃনমূলের সভাপতি অজয় মাঝির নাম ,রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার কুহেলি ঘোষের নামও।