হাসান লস্কর দক্ষিণ 24 পরগনা
১৭ই শ্রাবণ, আজকের দিনে ঘুটিয়ারী শরীফের বাবা গাজী সাহেব বা পীর বাবা বা গাজীবাবা খরা কবলিত এলাকার মানুষদের জন্য মক্কা থেকে জল আনতে গিয়েছিলেন।সকল ধর্মের মানুষজন আজ ঘুটিয়ারী শরীফে যান এবং গাজীবাবার মাজারে এই দিনটি পালন করেন , গাজী বাবা খুবই জাগ্রত এবং অনেক জটিল চিকিৎসা ভালো হয়ে যায়। আমাদের বারুইপুর পুরাতন বাজারেও একটি গাজী বাবার মাজার আছে এবং সেখানেও আজ উৎসব হয়ে থাকে।
বারুইপুর রাসমাঠের জমিদার বংশের থেকে জানা যায় যে জমিদারী থাকা কালীন তাঁদের সম্পত্তি একবার নিলাম হয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশদের কাছে, তখন বাবা গাজী সাহেবের স্বপ্নাদেশে সেই সম্পত্তি রক্ষা পায়। তারপর প্রায় ৩২০০ একর জমি দান করা হয় ঘুটিয়ারী শরীফের বাবা গাজী সাহেবের মাজারে। এখন পর্যন্ত এই দিনে গাজীবাবার মাজারে যতক্ষণ না বারুইপুর রাসমাঠের জমিদার বাড়ির কেউ যায়, ততক্ষণ কোনো অনুষ্ঠান শুরু হয় না মাজারে। বিশেষ করে ধর্মবর্ণ জাতি নির্বিশেষে এই দিনটির অপেক্ষায় মানুষ মুখিয়ে থাকে তাদের মনস্কামনা পূর্ণ করতেই এই কাজী সাহেবের মেলায় উপনীত হন মানুষজন। নিজেদের মনবাঞ্চাপ পূর্ণ করতে এবং সন্তান সন্ততিদের মঙ্গল কামনাতে এখানে ভিড় জমান ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষজন। প্রতিবছর এই দিনটি অপেক্ষায় তারা থাকেন।যেকোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কয়েকশো পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পুরো এলাকায় প্রায় 30 টিরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি চালানো হয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় সারা ভারতবর্ষ এমনকি দেশের বাইরে থেকেও ভক্তরা আসেন এখানে।