টোকিও: রাশিয়ার কামচাটকার উপকূলে গতকাল (৩০ জুলাই) ৮.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আছড়ে পড়ে, যা প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে বৃহৎ সুনামির ধাক্কা সৃষ্টি করে। জাপানের হোক্কাইদো ও হোন্শুর উপকূলজুড়ে ১.৩ মিটার পর্যন্ত তরঙ্গ দেখা যায়—বিশেষ করে কুওজি ও ইওয়াতে অঞ্চলগুলোতে। এই ঘটনায় প্রায় ১.৯ মিলিয়ন মানুষকে উপকূলীয় এলাকা থেকে উঁচু স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
যদিও প্রথমে ব্যাপক সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়, পরে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা সতর্কতা advisory পর্যায়ে পরিবর্তন করে দেয়, অর্থাৎ জরুরি পরিকল্পনামাত্রা ও পর্যবেক্ষণ এখনও চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের প্রাণহানি বা ধ্বংসাত্মক ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি; একটি মৃত্যুর ব্যতিক্রম ছাড়া ভবন ক্ষতিসহ কিছু আহত হয়েছে।
জাপানের শহরগুলোতে ফেরা ফেরার জন্য বিমান ও ফেরি সেবা বন্ধ করা হয়, সেন্ট্রাল ট্রেন এবং সেনদাই বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। ফুকুশিমার পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে কর্মীরা নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়, তাও কোনো অস্বাভাবিকতা ছাড়াই চলছে।
বিশ্বের অন্যান্য অংশেও সতর্কতা জারি করা হয়—হাওয়াই, আলাস্কা, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল, নিউ জিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশকে সতর্ক করা হয়। আন্তর্জাতিক জরুরী কেন্দ্রগুলোতে বিমান চলাচল বন্ধ, পুনঃনির্ধারণ এবং বিশৃঙ্খলতা লক্ষ্য করা যায়; বিশেষ করে ক্রুজ জাহাজগুলোকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিতে বাধ্য হতে হয়। রাশিয়ার সেভেরো‑কুরিলস্কে ৩‑৪ মিটার পরিমাণের সুনামি আঘাত করলে পরিকাঠামোতে ক্ষতি হলেও সেখানে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
সব মিলিয়ে, ভূমিকম্প ও সুনামির সম্ভাব্য ধাক্কা মোকাবিলায় জাপানসহ বেশ কয়টি দেশ পূর্ব প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় বড় ধরনের বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনসচেতনতা, coastal areas এ যাওয়া এড়ানো এবং further aftershock‑এর ইতিবাচকভাবে নজরদারিতে থাকার আহ্বান জানিয়েছে।