কর্ণাটক: মাত্র ৪০ দিনের মধ্যে কর্ণাটকের হাসন জেলায় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে এবং কোভিড-১৯ টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা ঘিরে উঠেছে নানা প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন জয়দেব ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওভাসকুলার সায়েন্সেস-এর ডিরেক্টর ড. কেএস রভীন্দ্রনাথ। কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “কোভিড টিকা গ্রহণের পর এমন হার্ট অ্যাটাকজনিত মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।”
৩০ জুন একদিনেই হাসন জেলায় চারজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ছিলেন বেশ কয়েকজন তরুণ, যাঁদের বয়স ১৯ থেকে ৪৫-এর মধ্যে। এই বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যান আরও আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। রাজ্য সরকার বলেছে, এইসব মৃত্যুর প্রতিটির পেছনের প্রকৃত কারণ জানতেই এই উচ্চপর্যায়ের তদন্তের প্রয়োজন।
তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ICMR–AIIMS জানিয়েছে, কোভিড টিকার সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের কোনও প্রত্যক্ষ যোগসূত্র এখনো পাওয়া যায়নি। তাদের মতে, কোভিড সংক্রমণ নিজেই হৃদপিণ্ডে প্রভাব ফেলতে পারে, আবার ব্যক্তির জীবনধারা, মানসিক চাপ, বা পূর্ববর্তী অসুস্থতাও হতে পারে আকস্মিক মৃত্যুর কারণ। WHO ও CDC-এর গবেষণাও এমনটাই বলছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নাগরিকদের অনুরোধ করেছেন—বুক ধড়ফড়, ব্যথা, ক্লান্তি বা মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। রাজ্য সরকার আশ্বাস দিয়েছে, তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।