দক্ষিণ কলকাতা ল-কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রকাশ্যে বলেছেন, যে প্রশাসন গণমাধ্যমের মাধ্যমে গণধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছে। পুলিশ তদন্তের জন্য প্রবেশের অনুরোধ করেছে, দুটি কক্ষ সিল করে দিয়েছে।.
সোমনাথ চৌধুরী :
দক্ষিণ কলকাতা ল-কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল জানান, যেখানে ২৫ জুন গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল, কলেজ প্রশাসন প্রথমে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের মাধ্যমে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পারে।
রাস্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চ্যাটার্জি বলেন, যে পুলিশ প্রথমে তাকে বা কলেজ কর্মীদের মামলাটি সম্পর্কে অবহিত করেনি, কেবল বলেছিল যে তারা অফিসিয়াল ডিউটিতে ছিল।
ভাইস প্রিন্সিপালের মতে, বৃহস্পতিবার কলেজ প্রাঙ্গণে প্রবেশের অনুমতি চেয়েছিল পুলিশ, গার্ডের ঘরে ২৪ বছর বয়সী ছাত্রীকে দুই সিনিয়র ছাত্র সহ একজন প্রাক্তন ছাত্রের দ্বারা ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার একদিন পর।
তিনি এও বলেন যে অফিসাররা তাদের এই সফরকে "গোপনীয়" বলে বর্ণনা করেছেন এবং বিশেষভাবে নিরাপত্তারক্ষীকে সতর্ক না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।একই দিনে পুলিশ তাদের তদন্তের অংশ হিসেবে নিচতলার দুটি কক্ষ সিল করে দেয়।
কলকাতা পুলিশ সহকারী পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি বিভাগ) প্রদীপ ঘোষালের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করেছে।আশা করা হচ্ছে, যে SIT নির্যাতিতা সহ তাঁর বাবা-মায়ের কাছ থেকে একটি গোপনীয় জবানবন্দি রেকর্ড করবে।
শনিবার বিকেলে আদালতে নির্যাতিতা তার গোপন জবানবন্দি দিতে হাজির হন।নির্যাতিতার তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন যে, অভিযুক্তরা তাকে হকি স্টিক দিয়ে আঘাত করে হুমকি দিয়েছে।
তদন্তকারীরা ধৃত ৩ অভিযুক্তের একজন মনোজিত মিশ্র (প্রাক্তন ছাত্র এবং অ্যাড-হক কর্মী), বর্তমান ছাত্র প্রতিম মুখার্জি এবং জায়েব আহমেদের মোবাইল ফোন থেকে ১.৫ মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপও উদ্ধার করেছেন।
"ভিডিওটির ফরেনসিক বিশ্লেষণ চলছে, নির্ধারণ করার চেষ্টা করছি যে এটি শেয়ার করা হয়েছে নাকি মুছে ফেলা হয়েছে,"এমনটাই পিটিআই সূত্রের খবর।
শনিবার সকালে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সুসংগত উত্তর দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর পুলিশ কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী ব্যানার্জিকেও গ্রেপ্তার করে।
এদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশন (এনসিডব্লিউ) শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব মনোজ পন্তকে চিঠি লিখে এই অপরাধের সাথে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন বিজয়া রাহাতকর উক্ত ঘটনাটিকে "গুরুতর" বলে অভিহিত করেছেন যা "জনগণের বিবেককে নাড়া দিয়েছে"।

