সময় মতো পৌঁছে গিয়েছে প্রথম কিস্তির টাকা।মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন মে মাসে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু হবে।যেমন কথা ঠিক তেমন কাজ । মঙ্গলবার থেকে বাংলার বাড়ির দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়া শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই উপভোক্তাদের চিন্তা দূর করে আবাস প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ টাকা দেওয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
বিগত কয়েক বছর থেকে আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে। অনেক টানাপোড়েনের পরেও জট না খোলায় নিজের কোষাগার থেকেই বাংলার আবাসে (Bangla Awas Yojana) বাড়ি বানিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার।বাংলার আবাসের উপভোক্তারা আগেই প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন।এবার দ্বিতীয় কিস্তির পালা। রাজ্য সরকার প্রায় ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু হবে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বাংলার আবাসের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আগামী জুন মাস থেকে দেওয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে রাজ্য প্রশাসন মে মাসের মধ্যেই সেই কাজ শুরু করে দিল। উল্লেখ্য, রাজ্যের ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে দুই দফায় মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার করে আবাসের টাকা দেওয়ার কথা। যার মধ্যে ১ লক্ষ বিভিন্ন বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপভোক্তা এবং ১১ লক্ষ আবাসের মূল তালিকায় থাকা উপভোক্তারা রয়েছেন তালিকায়।
ইতিমধ্যেই,বাংলার আবাস প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার করে মোট প্রায় ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা প্রদান করেছে রাজ্য সরকার। দ্বিতীয় কিস্তির বাকি টাকা দেওয়ার কাজও শুরু করে দিল রাজ্য সরকার ।আবারও ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে বাংলার আবাসে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার জন্য ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে অর্থ দফতর তরফে।
এরপর,বাংলার আবাসে বাকি ১৬ লক্ষ উপভোক্তার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে । জানা গিয়েছে,চলতি বছরের ডিসেম্বরে তাঁদের টাকা দেওয়া হবে ।প্রসঙ্গত,মন্ত্রী এবং সচিব স্তরে আবাসের বাড়ি তৈরির কাজ কোথায় কত দূর হয়েছে, কতটা বাকি রয়েছে, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।একাধিক জেলার কাজ গিয়ে খতিয়ে দেখছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আগামী ৩১শে
ডিসেম্বরের মধ্যে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা দেবে রাজ্য।ভোটে বিপুল জয়ের পর জনতাকে দেওয়া কথা মাথায় রেখে আবাসের টাকা দেওয়া শুরু করে রাজ্য সরকার ।
ডিসেম্বরের মধ্যে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা দেবে রাজ্য।ভোটে বিপুল জয়ের পর জনতাকে দেওয়া কথা মাথায় রেখে আবাসের টাকা দেওয়া শুরু করে রাজ্য সরকার ।