Select language to read news in your own language

বাজারে যাওয়ার ঝঞ্ঝাট শেষ,স্বল্প দামে দুয়ারে খাঁসি ও মুরগির মাংস

 
সোমনাথ চৌধুরী
 
দুয়ারে সরকার সহ দুয়ারে রেশন তো আগেই শুনেছেন।দুয়ারে খাঁসি ও মুরগির মাংস শুনেছেন! এবার এমনটাই হতে চলেছে খাঁসি ও মুরগির মাংস সহ ডিমের মতো আমিষ খাবারের সম্ভার হাজির হবে আপনার দুয়ারে। সময় ব্যয় করে ভিড়ে ঠাসা বাজারে গিয়ে মাংস ও ডিম কেনার পালা এবার চুকলো। 

এবার 'প্রাণী পালক'রা' খাঁসির মাংস, ডিম সহ মুরগির মাংস নিয়ে দুয়ারে পৌঁছে যাবেন ।সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন আবাসনে পৌঁছে যাবেন যাদের মাধ্যমে মিলবে নিজের বাড়িতে বসেই দুধ, ডিম, মাংস ইত্যাদি। আর এসব মিলবে বাজারের চাইতে কম দামে। কম দামে মিলবে কারণ থাকবে না কোনও মিডিলম্যান। অর্থাৎ সাশ্রয় হবে ক্রেতাদের সহ লাভবান হবেন বিক্রেতা-রাও।

জানিয়ে রাখি, উক্ত বিষয়ে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শস্য শ্যামলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের এ বিষয়ে পাঠানো প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের  ।  এই পরিষেবা শুরু হতে চলেছে সোনারপুরের আবাসনগুলিতে , যা বাংলায় প্রথম।সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, সোনারপুর ব্লক প্রাণিসম্পদ বিকাশ বিভাগের আধিকারিক কৃষ্ণপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে গোটা বিষয়টি বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের  তরফে 'ফার্মার প্রডিউসার অর্গানাইজেশন'-এর (FPO) সদস্যদের। তারাই দুয়ারে খাঁসির মাংস, ডিম সহ মুরগির মাংস বিক্রি করবেন।সূত্রের খবল অনুযায়ী জানা গিয়েছে প্রাথমিকভাবে সোনারপুরে এই প্রকল্প শুরু হতে চলেছে। সাফল্য মিললে পরে অন্যান্য জায়গাতেও এই পরিষেবা চালু করা হবে।

অভিনব এই পদক্ষেপের বিষয়ে ফার্মার প্রডিউসার অর্গানাইজেশন'র প্রধান জানান, তাদের উৎপাদিত মাংস ও ডিম সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করলে ভালো লাভ হবে।  তাদের থেকে এসব কিনে বাজারে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা । এভাবে সরাসরি বেচতে পারলে লাভের পরিমাণ অনেকটা বাড়বে। ক্রেতারাও কম দামে ভালো মানের জিনিস পাবেন। 
ads banner


ads banner

Bangla eDaily to resume soon