Select language to read news in your own language

চীন ও ইইউ-নির্ভরতায় বাড়ছে উদ্বেগ! ভারতের বাণিজ্যিক স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন


ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যান চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। দেখা যাচ্ছে, ভারত তার আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে ক্রমেই চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এই ট্রেন্ড রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মহলে নতুন করে "বাণিজ্যিক আত্মনির্ভরতা" নিয়ে বিতর্ক শুরু করেছে।

বাণিজ্য নির্ভরতা কতটা বেড়েছে? ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের মোট আমদানির প্রায় ১৯% এসেছে চীন থেকে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩% বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে রপ্তানির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮.6%-এ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা স্বল্পমেয়াদে সুবিধাজনক হলেও দীর্ঘমেয়াদে তা কৌশলগত ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

কেন বাড়ছে নির্ভরতা? বিশ্লেষকদের মতে, চীনের স্বল্পমূল্যে উৎপাদিত ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ, রাসায়নিক, এবং সৌরপ্যানেলের উপর ভারতের ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা তার নিজস্ব উৎপাদন কাঠামোর দুর্বলতাকে তুলে ধরছে। ইউরোপের উচ্চমানসম্পন্ন প্রযুক্তিপণ্য ও বিনিয়োগ ভারতীয় শিল্পে আকর্ষণীয় হলেও, এটি একইসঙ্গে একটি ঘনিষ্ঠ নির্ভরতা গড়ে তুলছে।

সরকারের প্রতিক্রিয়া: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্র সরকার এই বিষয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ করছে এবং "চীন-পূর্ব ও ইইউ-বিকল্প বাজারে" রপ্তানি ও আমদানি বৈচিত্র্য আনতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। 'মেক ইন ইন্ডিয়া' ও 'আত্মনির্ভর ভারত' কর্মসূচিকে আরও শক্তিশালী করার কথাও ভাবা হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বৈশ্বিক সংযোগ জরুরি হলেও অতিরিক্ত নির্ভরতা কৌশলগত দিক থেকে বিপজ্জনক হতে পারে। ভারত যদি উৎপাদন ও রপ্তানির ভিত্তি প্রসারিত করতে না পারে, তাহলে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক চাপ বা বাণিজ্য যুদ্ধের সময় সমস্যায় পড়তে পারে।

বিশ্বায়নের যুগে বৈদেশিক বাণিজ্য অবশ্যম্ভাবী হলেও, ভারতের জন্য একটি সুসামঞ্জস ও বিকল্পমুখী বাণিজ্য কৌশল গড়ে তোলার সময় এসেছে। চীন ও ইইউ-র সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি নতুন অংশীদার খোঁজা এখন দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার অন্যতম চাবিকাঠি।

নিউজ ও ফিচার কনটেন্টের লেটেস্ট আপডেট পেতে সাতসকাল-এর ফেসবুক পেজ লাইক ও ফলো করুন


ads banner


ads banner

Bangla eDaily to resume soon