Select language to read news in your own language

সিভিক ভলেন্টিয়ারের চোর অপবাদে মার, চিঠিতে "মা আমি চুরি করিনি" লেখে আত্মঘাতী ছাত্র




বিষয়া ভৌমিক 

চুরি করেনি, বারবার বলেছিল সে, কিন্তু কেউ সে কথা কানেও তোলেনি ।বরং প্রকাশ্য রাস্তায় 'চোর' অপবাদ দিয়ে  চলেছে হেনস্থা সহ মারধোর।সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer) অপমানে শেষে চরম সিদ্ধান্ত নেয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer) অপমানের জেরে  চরম সিদ্ধান্ত নেয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। 

পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার গোঁসাইবেড় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় । আত্মঘাতী ছাত্রের নাম কৃষ্ণেন্দু দাস।
গত রবিবারে, চিপস কিনতে বেরিয়েছিল পাঁশকুড়ার গোঁসাইবেড় বাজারের বাসিন্দা ওই ছাত্র ।

আত্মঘাতী হওয়া ছাত্রের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, যে দোকানে সে গিয়েছিল, সেখানে চিপস ছিল না। কৃষ্ণেন্দু দোকানদারকে বারবার ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি। ঠিক তখনই দোকানের বাইরেই রাস্তায় একটি চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে তা কুড়িয়ে নেয় কৃষ্ণেন্দু।

এদিকে বাড়ি ফেরার সময়ই শুভঙ্কর দীক্ষিত ধামের ওই দোকানের মালিক  তাকে মোটরবাইক নিয়ে ধাওয়া করে বলে অভিযোগ।জানিয়ে রাখি,শুভঙ্কর দীক্ষিত পেশায় একজন সেভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer)।তাঁর বিরুদ্ধে কৃষ্ণেন্দুকে ধরে 'চোর' অপবাদ দিয়ে বাজার এলাকায় কান ধরে ওঠ-বোস করানোর অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও সেই সঙ্গে ওই ছাত্রকে মারধোরেরও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। কৃষ্ণেন্দুর পরিবারের তরফে  দাবি করা হয়েছে, ওই চিপসের দাম সে তখনই মিটিয়ে দিলেও মারধোর থামেনি।

এর মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান ছাত্রের বাবা মা, ছেলেকে (কৃষ্ণেন্দু) শাসন করে বাড়িতে নিয়ে যান তাঁরা। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী , বাড়ি ফিরেই একটি ঘরে ঢুকে পড়ে ওই ছাত্র। বেশ কিছুক্ষণ পরে তাঁর বাবা মা ওই ঘরে ঢুকে ছেলেকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ঘরে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে, যেখানে লেখা, 'মা আমি বলে যাচ্ছি যে আমি কুড়কুড়েটি রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম, চুরি করিনি'।

সাথে সাথে কৃষ্ণেন্দুকে  নিয়ে যাওয়া হয় তমলুক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । জানা যায়, বাড়িতে রাখা কীটনাশক খেয়ে নিয়েছিল কৃষ্ণেন্দু। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের, ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া । সেই সঙ্গে দোকানদারের উপরেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকাবাসীরা ।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ওই দোকানদার নাকি পেশায় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। এই ঘটনায় এখনো তাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও স্থানীয়রা তাঁর কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। 
ads banner


ads banner

Bangla eDaily to resume soon