সোমনাথ চৌধুরী
রাজ্য
সরকার জনসাধারণের মাথার উপরে ছাদের জোগানে বরাদ্দ করেছে বাংলার আবাস, সেই
মতো রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে আবাসের উপভোক্তাদের বাড়ি নির্মাণের কাজ।
রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু
না হলে মিলবে না আবাসের অবশিষ্ট টাকা, তাই আবাসের উপভোক্তারাও ব্যস্ত বাড়ি
নির্মাণের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে ।আর এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে চলছে
একাংশ অসাধু বালু ব্যবসায়ীদের রমরমা।
নদী থেকে সরকারি রাজস্ব না দিয়েই তোলা হচ্ছে বালি, কেননা আবাসের বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে বালি। তাই হয়তো প্রশাসনের নখদর্পণে থাকা সত্ত্বেও মিলছে বালু মাফিয়াদের বিশেষ ছাড়, সরকারি রাজস্ব ছাড়াই তুলছে নদী থেকে বালি।
অবৈধভাবে নদী থেকে বালু তোলাকে কেন্দ্র করে কোথাও প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন এলাকার সাধারণ মানুষেরা, তো কোথাও আবার দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছেন এলাকাবাসীরা ।
কী শাসক আর কী বিরোধী ছোট, মাঝারি সহ বড় নেতারা সবাই এককাট্টা।বালির চাহিদা মেটাতে মনে হয় তাঁরা সকলেই পৌঁছে যাবেন বালির দেশ মিশরে, এমন সব তাদের অবস্থা ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ, অবৈধভাবে বালি তুললেও দাম কমছে না বালির। নিরুপায় জনতা জনার্দনদের প্রতি গাড়ি বালি কিনতে হচ্ছে ১৬০০-১৭০০ টাকায়, এছাড়াও চড়া দামে কিনতে হচ্ছে ইট, সিমেন্ট সহ পাথর । কী আজব ব্যবস্থা, আর কী আজব সেই ব্যবস্থার পরিচালনা ।
অপরদিকে, বালু ব্যবসায়ীদের ট্রাক্টরের গতি বিপুল অর্থ ব্যায়ে নির্মিত রাস্তাগুলোকে পরিণত করে চলেছে মাটির রাস্তায়। রাস্তা জুড়ে শুধু বালি আর ধূলো পিচের দেখা মেলা দায়। এরফলে এলাকায় বাড়ছে দূর্ঘটনা, নিরাপত্তাহীনতায় জনতা জনার্দনের রাস্তা চলাচল ব্যবস্থা ।
আইন রক্ষাকারী প্রশাসনের আধিকারিকরা যখন বালিতে মাথা ঢুকিয়ে উট পাখির ন্যায় ,তখন তো হবেই জনতা জনার্দনের অবস্থা নিরুপায় ,এমনটাই মত স্থানীয় বাসিন্দাদের ।