যোগমায়া আচার্য
প্রতি বছর ৩১ মে পালিত হয় National Smile Day—একটি দিন যা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, একটি সাধারণ হাসি কতটা অসাধারণ শক্তির অধিকারী। এই দিনে আমরা শুধু নিজের মুখেই হাসি আনতে চাই না, বরং চেষ্টা করি অন্যের মুখেও একটুখানি হাসি ফুটিয়ে তুলতে।
একটি সুন্দর হাসি মানুষের হৃদয় জয় করে, সম্পর্ক গড়ে তোলে, মানসিক চাপ কমায় এবং সুস্থতার অন্যতম প্রতীক হিসেবে কাজ করে। আধুনিক গবেষণাও বলছে, হাসি আমাদের মস্তিষ্কে ‘ফিল গুড’ হরমোন—ডোপামিন, সেরোটোনিন ও অক্সিটোসিন—নির্গত করতে সাহায্য করে।
কেন গুরুত্বপূর্ণ ‘হাসি’?
হাসি একটি সার্বজনীন ভাষা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ কিংবা ভাষা—সব কিছু ছাড়িয়ে এটি একটি শক্তিশালী মানবিক অনুভব। গবেষণায় প্রমাণিত, শিশুরা দিনে প্রায় ৩০০ বার হাসে, অথচ প্রাপ্তবয়স্করা গড়ে মাত্র ১৭ বার। কেন এই পার্থক্য?
জীবনের প্রতিকূলতা, মানসিক চাপ, হতাশা আমাদের হাসিকে খুঁজে পাওয়াই কঠিন করে তোলে। অথচ হাসিই পারে সেই অন্ধকার দূর করে, মন ভালো করতে এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে।
হাসির উপকারিতা
# মানসিক চাপ হ্রাস করে
# রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
# রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
# আত্মবিশ্বাস ও সম্পর্ক গঠনে সাহায্য করে
# কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে
ছোট ছোট হাসি, বড় বড় প্রভাব
একজন অচেনা মানুষের দিকে তাকিয়ে একটুখানি হাসি—তা হয়তো আপনার বা তার দিনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত হতে পারে। হাসপাতালের রোগী, পথশিশু, বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা কিংবা অফিসের ক্লান্ত সহকর্মী—সবার মুখেই একটুখানি হাসি উপহার দেওয়া যায় যদি আমরা একটু আন্তরিক হই।
এই দিনে কী করতে পারেন?
# পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে হাসির মুহূর্ত ভাগ করুন
# হাস্যকর গল্প বা সিনেমা দেখে মন হালকা করুন
# অফিসে বা স্কুলে ‘স্মাইল চ্যালেঞ্জ’ আয়োজন করুন
# সোশ্যাল মিডিয়ায় #NationalSmileDay হ্যাশট্যাগে হাসির ছবি পোস্ট করুন
# কাউকে ধন্যবাদ জানান বা প্রশংসা করুন
হাসি ছড়িয়ে দিন, ভালোবাসা ফিরে পাবেন
এই কঠিন সময়ে, যেখানে মানসিক স্বাস্থ্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে একটি হাসি হতে পারে ওষুধের মতো। ন্যাশনাল স্মাইল ডে আমাদের মনে করায়—হাসি শুধুই মুখের প্রকাশ নয়, এটি হৃদয়েরও ভাষা।
আজ আমরা প্রতিজ্ঞা করি, যতটা পারি হাসব এবং অন্যকে হাসাতে সাহায্য করব। কারণ, “যে হাসি দিতে পারে, সে পৃথিবীকে সুন্দর করে তোলে।”


