রাজীব সিকদার
বর্তমানে ভারতবর্ষের সমস্ত দপ্তর জরুরি পরিষেবা ক্ষেত্র, এবং পার্লামেন্ট পর্যন্ত একটা সমান্তরাল বেসরকারি মালিকের অধীন । বর্তমানে একটা ক্ষেত্র নেই সেখানে সরকার সক্রিয়ভাবে সরকারি পরিষেবা দিতে দায়বদ্ধ । শুধুমাত্র ভোট আর ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে গদি মিডিয়াকে সামনে রেখে খানিক সরকারি সরকারি ভাব বজায় রাখার উদ্যোগ চলছে। আন্দোলনকে দেখানো হচ্ছে এটা গণতান্ত্রিক দেশ। অন্যদিকে 'অপারেশন সিঁদুর', 'প্রধানমন্ত্রীর শরীরে গরম সিঁদুর ', শাসক এবং বিরোধী দলের সংসদদের পাকিস্তান বিরোধীতার উদ্দেশ্যে বিদেশ ভ্রমণ দেখিয়ে দেশপ্রেমের টগবগে আবেগ তৈরি করার প্রচার এগুলো আসলে সবই গাঁজাখুরি গল্পের আবহাওয়া তৈরীর উদ্দেশ্যে। সন্ত্রাস কিম্বা অপরাধ দমনের কিম্বা পেশাদারী সশস্ত্র গ্রুপ তৈরি বন্ধের কোনো যথার্থ প্রক্রিয়া এতে থাকে বলে মনে হয় না। মনে রাখবেন, পাকিস্থানের সাথেও ভারতের 40 টা বাণিজ্যিক চুক্তি আছে। যেখান থেকে ভারতে আয় বহুগুণ বেশি।
জেনে রাখুন, গোটা দেশ আমেরিকা ব্রিটেন, জার্মানি, জাপান, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, হংকং ইত্যাদি দেশের ৫০০০ কোম্পানি ভারতবর্ষের তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রগুলিতে ঘাঁটিগড়ে বসে আছে। অনবরত দক্ষ শ্রমিক সংগ্রহ করছে। অদক্ষদের দক্ষ করার ভুয়ো গল্প ফাঁদছে। অনবরত নিয়োগের নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে শ্রম শক্তিকে হায়ারিং করছে । যা বাস্তবে নিয়োগ নয়। কিন্তু, নিয়োগ নিয়োগ ভাব বজায় রাখতে বেশ কার্যকরী শব্দ।
সেই সেই দেশগুলোতে দেশের সংসদরা যাচ্ছেন যে যে দেশের কোম্পানিগুলো ভারতবর্ষের বাজারে প্রতাপ তৈরি করেছে। যে সব দলের সাথে পুঁজিপতিদের গাঁটছড়া বাঁধা আছে। যারা নানান সময় বিদেশ থেকে পুরস্কার পাচ্ছে। তা সে UNESCO বা Nobel সংস্থা যায় হোক। এটা সাধারণ ট্রেন্ড। কিছু ব্যতিক্রম থাকতেই পারে খানিক ভাবমূর্তি বজায় রাখার জন্য।
সরকার একটা বড় এজেন্ট যাকে গদা বাংলায় বলা হয় দালাল। কিন্তু এত অভ্যন্তরীণ বিষয় তো জনসমক্ষে প্রকাশ করে দেওয়া যায় না। যেহেতু শোষণ ও শোষণের মাধ্যমে মুনাফা সরকারের মুখ্য বিষয়। তাই, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্যই গদি মিডিয়াতে নিত্যনতুন শব্দের আমদানি। এতে পাবলিক শিক্ষিত ও অশিক্ষিত মসগুল থাকতে পারে।
আসলে বুঝতে হবে সাধারণ ব্যবসায়ী অর্থনীতি, সামরিক অর্থনীতি, ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রি, ইন্স্যুরেন্স ইকোনমি, নাম্বারিং ইকোনমি, crypto currency ইত্যাদি বিষয়গুলো যেগুলো নানান অজুহাতে পরিষেবা দেওয়ার আড়ালে সর্বাত্মক প্রতারণা ও শোষণের নীল নকশা তৈরি করছে, প্রয়োগ করছে।
দুবাই, সিঙ্গাপুর এখন বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তির রাজধানী হতে চলেছে, হয়তো হয়েই গেছে একটু কান পাতুন শুনতে পাবেন। সব ক্যাপিটাল জমছে সেখানে, যত ষড়যন্ত্র সেখানে, পুঁজিপতিদের যত লুটপাট, খুন, খেয়খেয়ী সেখানে।
এমতাবস্থায় , প্রতিদিনের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে রাজনীতি অর্থনীতি না বুঝলে আবার ঘুরে ফিরে গাঁজাখোরী এজেন্ডা ভোটের আগে সরকার নিয়ে আসবে। আপনি সেগুলো যদি খান তাহলে আরও প্রতারিত হবেন। শুধু তাই - ই নয়, পরবর্তী প্রজন্ম আপনার সাথেই প্রচারের মিথ্যা মুখরোচক প্রচারের গাঁজা খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। তাই, রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন হোন। অর্থনীতি বুঝে সরকার, শাসকদল কিম্বা বিরোধী দলের বক্তব্য শুনুন, গ্রহণ করুন। আগামী ভারতবর্ষকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসুন।