পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম প্রায় ৬৫ ডলার প্রতি ব্যারেল পর্যায়ে স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মন্ত্রীর এই মন্তব্যে ভারতের অর্থনীতিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বিশেষজ্ঞ মহল।
মন্ত্রী পুরি বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, তেলের দামে বড়সড় কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা আপাতত নেই। এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক একটি ইঙ্গিত।”
ভারত বিশ্ববাজার থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির ক্ষেত্রে অন্যতম বৃহৎ ভোক্তা। সেক্ষেত্রে তেলের দাম কম থাকলে দেশের আমদানি ব্যয় হ্রাস পাবে, এবং মুদ্রাস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই পূর্বাভাস সঠিক হয়, তবে এর প্রভাব পড়বে ট্রান্সপোর্ট খরচ, উৎপাদন ব্যয় এবং জ্বালানিনির্ভর শিল্পগুলোর উপর—যা সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার খরচেও স্বস্তি আনতে পারে।
তবে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ওপেক প্লাস-এর সিদ্ধান্তগুলোর উপরও আগামী দিনের দাম নির্ভর করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবুও আপাতত পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর এই আশাবাদী বার্তা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকেই ইঙ্গিত করছে।