বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণ চেয়ে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছে। সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যান বলে জানা যায়। এই ঘটনার পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।
ভারত এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, বিশেষ করে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সহিংসতা এবং এক হিন্দু ধর্মীয় নেতার গ্রেফতারের ঘটনার প্রেক্ষিতে। ভারত সরকার এই ঘটনাগুলোকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছে এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দাবি করছে, "আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করার স্বার্থে" সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা অপরিহার্য। সরকারের মতে, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভারসাম্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার অংশ।
এই প্রেক্ষিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক নতুনভাবে পুনঃমূল্যায়নের দিকে যাচ্ছে। দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তর এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা শুরু করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান না হয়, তবে এই সংকট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
এই মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে, এবং এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলের নজরও পড়েছে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের উপর।