অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী ।এহেনো পরিস্থিতিতে এবার একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।উক্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, যুদ্ধের সময়ে ভারতের (India) ওপর চিন পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেছিল। এর সাথে স্যাটেলাইট ডেটাও ভাগ করা হয়েছিল বলে রিপোর্টে জানা গিয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অন্তর্ভূক্ত থিঙ্ক ট্যাঙ্ক "সেন্টার ফর জয়েন্ট ওয়ারফেয়ার স্টাডিজের " রিপোর্টে এই বড় তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।এদিকে, রিপোর্টটি এমন সময়ে সামনে এসেছে যখন দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘাতের আগুন কিছুটা স্তিমিত হয়েছে।এমতাবস্থায়,গুরুতর প্রশ্ন উঠছে তৃতীয় পক্ষ অর্থাৎ চিনের ভূমিকা নিয়ে ।
রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করার জন্য চিন যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল।কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্তির সামনে তাদের যোগসাজিশ টিকতে পারেনি।ভারতীয় সেনাবাহিনী শুধু সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানা ধ্বংস করেনি, সাথে সাথে সুনির্দিষ্ট আক্রমণ করে বিপুল সন্ত্রাসবাদীকে হত্যাও করেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের (India) সামরিক মোতায়েনের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য চিন পাকিস্তানকে তার বিমান প্রতিরক্ষা এবং রাডার ব্যবস্থা নতুন ভাবে তৈরী করতে সাহায্য করেছিল। তাছাড়াও, গত ২২ এপ্রিল পাহেলগাঁওতে হামলা এবং হামলা পরবর্তী সংঘাত শুরু হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে চিন পাকিস্তানের স্যাটেলাইট ব্যবস্থাকে ভারতের ওপর আরও ভালোভাবে নজরদারি করার ক্ষেত্রেও সাহায্য করেছিল।
উক্ত বিষয়ে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক CJWS এর মহানির্দেশক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) অশোক কুমার জানিয়েছেন,"চিন পাকিস্তানের রাডার মোতায়েনের ব্যবস্থা এমনভাবে করেছে যে আমরা যদি কোনও বিমান হামলা চালাই, তাহলে পাকিস্তান আগে থেকেই তা জানতে পারবে।"
এদিকে পাকিস্তান দাবি করেছে যে, তারা শুধুমাত্র চিন থেকে প্রাপ্ত অস্ত্র ব্যবহার করেছে। যদিও, উক্ত রিপোর্ট পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছে।আরও বলা হয়েছে যে পাকিস্তানকে চিন প্রযুক্তিগত , গোয়েন্দা এবং কৌশলগত সহায়তা করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে , চিন এই সংঘাতকে তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার "অগ্নিপরীক্ষা" হিসেবে দেখেছে। তবে, মূল্যায়নে বলা হয়েছে যে চিনের অনেক সিস্টেম "ব্যর্থ" প্রমাণিত হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের (India) প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক পাকিস্তানের ড্রোন হামলা কার্যকরভাবে প্রতিহত করতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম ছিল।