পিয়া রায়
প্রতিদিনের জীবনে এক কাপ চায়ের সঙ্গে বিস্কুট যেন আবশ্যিক এক সঙ্গী। কখনও সকালবেলার নাশতায়, কখনও বিকেলের আড্ডায়, আবার কখনও রাত জাগার সঙ্গী হয়ে বিস্কুট ঢুকে পড়ে আমাদের জীবনের প্রতিটি পরতে। আর এই ছোট্ট কিন্তু প্রিয় খাবারটিকে উদযাপন করতেই প্রতি বছর ২৯ মে পালন করা হয় National Biscuit Day।
এই দিনটি শুধু বিস্কুট খাওয়ার নয়, বরং বিস্কুটকে ঘিরে থাকা স্মৃতি, ঐতিহ্য ও বৈচিত্র্যেরও দিন।
বিস্কুটের ইতিহাস
‘বিস্কুট’ শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ‘bis coctus’ থেকে, যার অর্থ “দু’বার বেক করা”। আদিকালে বিস্কুট তৈরি হতো দীর্ঘযাত্রার জন্য টেকসই খাবার হিসেবে। ধীরে ধীরে এই বিস্কুট রূপ নেয় নানা স্বাদ ও রূপে—মিষ্টি, নোনতা, ক্রিস্পি, সফট, ফিলিং-সহ নানা বৈচিত্র্যে। ভারতে বিস্কুট জনপ্রিয়তা পায় ব্রিটিশ রাজত্বকালে, যখন বড় বড় বেকারির সূচনা হয়।
বিস্কুটের বিবর্তন
সময় ও প্রযুক্তির সঙ্গে বিস্কুটের রূপ বদলেছে অনেকটাই। এক সময়ের হাতে গড়া বিস্কুট আজ বিশাল মেশিনে, দ্রুতগতিতে তৈরি হচ্ছে। এখন বিস্কুট শুধু ময়দা আর চিনি নয়—হোল হুইট, ওটস, রাগি, গ্লুটেন-ফ্রি, ডায়াবেটিক বিস্কুট ইত্যাদির নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।
বিস্কুট ও বাঙালির সম্পর্ক
বাঙালির চায়ের কাপ বিস্কুট ছাড়া যেন অর্ধেক!
“চায়ে ডুবানো বিস্কুট” শুধু অভ্যাস নয়, যেন আবেগ। শহরের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে গ্রাম্য পানের দোকান—সবখানেই বিস্কুটের উপস্থিতি এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
বাজারে বিস্কুটের বৈচিত্র্য
ভারতের বিস্কুট শিল্প এক বিশাল বাজার। পার্লেজি, ব্রিটানিয়া, আনমোল, সানফিস্ট, হাইড্রাম, আইটি সি-র মতো কোম্পানিগুলোর অসংখ্য প্রোডাক্ট বিস্কুট প্রেমীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। আজকাল হেলদি বিকল্প খুঁজছেন যাঁরা, তাঁদের জন্যও রয়েছে সুগার-ফ্রি বা ফাইবার-রিচ বিস্কুট।
কীভাবে উদযাপন করবেন National Biscuit Day?
# আপনার প্রিয় বিস্কুট দিয়ে নিজেকে করুন খুশি
# ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলুন হোমমেড বিস্কুট
# বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করুন বিস্কুটের স্মৃতি
# সোশ্যাল মিডিয়ায় #NationalBiscuitDay দিয়ে পোস্ট করুন আপনার পছন্দের বিস্কুটের ছবি
উপসংহার
বিস্কুট হয়তো খুব সাধারণ একটি খাবার, কিন্তু এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে নস্টালজিয়া, ছোটবেলার গল্প, বড়ো হওয়ার স্মৃতি। National Biscuit Day আমাদের সেই সাধারণ কিন্তু হৃদয়গ্রাহী মুহূর্তগুলিকে ফিরে দেখার সুযোগ দেয়।
তাই আজকের দিনে চায়ের কাপে এক চুমুক আর বিস্কুটের এক কামড়—আরও একবার জীবনের মিষ্টি মুহূর্তগুলোতে ফিরে যাওয়া হোক।