সোমনাথ চৌধুরী :
কলকাতায় ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ ভাঙা হল কেনো তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার গঙ্গারামপুরে মিছিল করলো তৃণমূল।ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা।পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের কখনও আটকে রাখা হচ্ছে আবার কখনও বাংলাদেশি ভেবে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।মধ্যপ্রদেশ, হরিয়াণা, গুজরাট সহ বিভিন্ন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা করায় রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামে তৃণমূল কংগ্রেস।বাঙালিদের হেনস্থার প্রতিবাদে কলকাতার মেয়ো রোডে মঞ্চ বাধা হয়।অভিযোগ সেনাবাহিনী সোমবার মেয়ো রোডে ভাষা আন্দোলনের সেই মঞ্চটি ভেঙ্গে দেয়।বিষয়টি নিয়ে সরব হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ,শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ ভাঙা হল কেনো তার জবাব চেয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের ডাক দেয় তৃণমূল কংগ্রেস ।সেই মতো মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি তথা গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের নেতৃত্বে গঙ্গারামপুরে প্রতিবাদ মিছিল বের করে তৃণমূল কংগ্রেস। মিছিলটি গঙ্গারামপুরের নিউ মার্কেট থেকে বেরিয়ে শহরের চৌমাথা মোড় সহ বাসস্ট্যান্ড পরিক্রমা করে নিউ মার্কেটে গিয়ে শেষ হয়।
অপরদিকে ,তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিলের এক ঘন্টা পরেই সেনাবাহিনীকে শ্রদ্ধা ও কুর্নিশ জানাতে শহরে মিছিল করল বিজেপি ।মঙ্গলবার সাড়ে ৬টা নাগাদ গঙ্গারামপুরের দত্তপাড়ায় অবস্থিত বিজেপির কার্যালয় থেকে পাল্টা মিছিল বের করা হয়।এরপরে মিছিলটি হাইরোড থেকে চৌপথি মোড় হয়ে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।এদিনের এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অশোক বর্ধন।
বিজেপির দাবি ,মুখ্যমন্ত্রী নাকি মিথ্যাচার করছেন।মেয়ো রোডে মঞ্চ করে রাখার পারমিশন নেওয়া হয়েছিল সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ১৫ দিনের।একমাস পেরিয়ে গেলেও সেই মঞ্চ রেখে দিয়েছিল তৃণমূল।মেয়ো রোড সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রয়েছে।সেনাবাহিনীর তরফে একাধিকবার নাকি প্রশাসন সহ পুলিশকে জানানোর পরেও সেই মঞ্চ খোলা হয়নি ,তাই এদিন সেনাবাহিনী গিয়ে মঞ্চটি খুলে দেয় ।এরপরে মুখ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে অপমান করে বলেছেন তাকে দেখে নাকি সেনাবাহিনীর জওয়ানরা পালিয়ে গেছে ,এটা মিথ্যাচার করছেন মুখ্যমন্ত্রী দাবি বিজেপির।