উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রবল বর্ষণ ও বন্যা মারাত্মক ক্ষতির মুখে ফেলেছে কৃষিক্ষেত্রকে। বিশেষত পাঞ্জাবে ব্যাপক ধান ফসল জলের নিচে ডুবে গেছে। সরকারি হিসেবে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ১,৬৫০টি গ্রাম বন্যায় প্রভাবিত এবং আনুমানিক ১.৭৫ লক্ষ একর জমি তলিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় কৃষকেরা জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতি যদি আরও কিছুদিন স্থায়ী হয়, তবে পুরো মৌসুমের উৎপাদনই ভেঙে পড়তে পারে।
কৃষি অর্থনীতিবিদদের মতে, উত্তর-পশ্চিম ভারতের এই অস্বাভাবিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেশের খাদ্যশস্য সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে চালের মজুত কমে গেলে খাদ্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইতিমধ্যেই পাইকারি বাজারে ধানের দামে সূক্ষ্ম বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কৃষকেরা ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন, যদিও সরকারি ত্রাণ তৎপরতা এখনও প্রাথমিক স্তরে সীমাবদ্ধ।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তবে শুধুমাত্র পাঞ্জাব নয়, সমগ্র দেশের সাধারণ মানুষকেই এর মাশুল দিতে হবে খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির আকারে। কৃষি নির্ভর পরিবারগুলির জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হওয়া ছাড়াও, ভোক্তাদের দৈনন্দিন খরচ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে এই বন্যা শুধু একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বরং আসন্ন অর্থনৈতিক সঙ্কটের পূর্বাভাসও বয়ে আনছে।

