সোমনাথ চৌধুরী :
কাশ্মীর আর পাক অধ্যুষিত নয়।পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি আগেই টের পেয়ে গিয়েছিল, যে সময় এসে গেছে গোপন ঘাঁটি পরিবর্তন করার।আর সেই ঠিকানা পরিবর্তনের উপলক্ষ্যকে যেনো সম্পূর্ন করেছে অপারেশন সিঁন্দুর।একের পর এক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীরা কাশ্মীর থেকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোয়ার দিকে।
সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী ,হিজবুল মুজাহিদীন ও জইশ-ই-মহম্মদের মতো পাকিস্তানের অন্যতম জঙ্গি সংগঠনগুলি তাঁদের সদর ঘাঁটির ঠিকানা পরিবর্তন করেছে।এখন তাঁদের নতুন ঠিকানা পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের পরিবর্তে আফগানিস্তান লাগোয়া খাইবার পাখতুন।
কিন্তু হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত কেনো নিতে হল তাঁদের? সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র মারফত জানতে পেরেছে ,ভারতীয় সেনার অভিযানের জেরেই সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে তাঁরা।
উল্লেখ্য ,গত মে মাসে পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার বদলা হিসেবে অপারেশন সিঁন্দুর অভিযান চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা।একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি রাতের অন্ধকারে পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরে ঢুকে ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। এই হামলায় জইশ-ই-মহম্মদের পুরো পরিবার শেষ হয়ে যায় ।হিজবুলার ঘাঁটিও ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা,যা আজও পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি হিজবুলার তরফে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে,পাকিস্তানের অন্যতম দুই জঙ্গি গোষ্ঠী উক্ত হামলার কারনে ভয় পেয়েছে।পাশাপাশি ,উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বের কাছে তাঁদের সদর ঠিকানা গুলো।এমনত অবস্থায় তাঁদের নতুন ঠিকানা খোঁজা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই ।কিন্তু সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি নিজের জমি তৈরী করতে পারবে কী খাইবার পাখতুন ! 'অলিখিত ভাবে' আফগানিস্তান লাগোয়া খাইবার পাখতুন একটা বড় অংশ নিজেদের দখলে রেখেছে তালিবান গোষ্ঠী।সেই সমস্ত এলাকায় পা রাখতে ভয় পায় পাকিস্তানের সেনারাও।তাঁদের মাঝের মধ্যেই হামলার মুখে পড়তে হয়।এদিকে আফগানিস্তান নিজেদের দখলে নেওয়ার পর পাকিস্তানিদের সঙ্গে সম্পর্ক প্রচন্ড খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে তালিবানদের।
এমন পরিস্থিতিতে ,নতুন ঠিকানা কতটা নিরাপদ জইশ-ই-মহম্মদের ও মুজাহিদীন গোষ্ঠীর জন্য যথেষ্ট শঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।