হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা :
একবার ১০২ নম্বরে ডায়াল করলেই গর্ভবতী মহিলাদের বাড়িতে পৌঁছে যাবে এই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স। সোজা রোগীকে নিয়ে চলে আসবে হাসপাতালে মহাকুমা হাসপাতালে। আবার পুত্র ও কন্যা সন্তান হওয়ার পরে এই শীততাপনিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছে দেবে বাড়িতে । পাশাপাশি, কোনো গর্ভবতী মহিলাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে জেলার সরকারি হাসপাতালে পৌঁছেও দেবে এই অ্যাম্বুলেন্স। মোট ৫ টি শীততাপনিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু হল। এতে অক্সিজেন সহ প্রেসার পরীক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে। থাকে প্রশিক্ষিত নার্সও। প্রসঙ্গত, আগে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ৪ টি ১০২ অ্যাম্বুলেন্স চালু ছিল কিন্তু তা ছিল সাধারণ। এবার শীততাপনিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স চালু হওয়ায় খুশি রোগীর পরিবার পরিজন। হাসপাতালের এই অত্যাধুনিক পরিষেবায় তাঁরা বেজায় খুশি। এ প্রসঙ্গে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়ে যাতে কোন গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়, বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের যদি কোন কারনে কোন সমস্যা চলেও আসে সেই সমস্যার সমাধানের জন্য এই পরিসেবা। এই প্রকল্পের মূল্য লক্ষ্য হলো গর্ভবতী মা ও নবজাতকদের জন্য নিরাপদ দ্রুত ও বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা প্রদান করা। রাজ্যের যে সমস্ত গর্ভবতী মা প্রসবের সময় বা প্রসব পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য পরিবহনের বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন তারা খুব সহজেই এক বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্য পেতে পারে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বহু মা প্রসবের সময় সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারা যান বা শিশুরাও বিপদের মুখে পড়ে, বিশেষ করে গ্রামীণ বা দুর্গম অঞ্চলে হাসপাতালে পৌঁছাতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, ঠিক এই সমস্যার সমাধান করতে এবার শীততাপনিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স চালু বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে।