সোমনাথ চৌধুরী
যাদের জন্ম সার্টিফিকেট নেই, তারা কিভাবে দেরিতে জন্ম সার্টিফিকেট তৈরী করবেন, তার নিয়ম কারণ সবটাই জানানো হলো। আশা করি যাদের জন্ম সার্টিফিকেট নেই তাঁদের সকলের কাজে লাগবে।
সর্বপ্রথম আপনার জন্মতারিখ হতে হবে ১৯৮৯ সালের ১ লা জুলাই ।এরপরে, পঞ্চায়েত বা পৌরসভায় জন্ম নিবন্ধীকরণ রেজিষ্টারে আপনার নাম নথিভুক্ত করা হয়নি, এই মর্মে একটা শংসাপত্র নিতে হবে।
সাথে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের একটা এফিডেভিড করাতে হবে, আপনি আনুমানিক ওই তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন। আর তার জন্য লাগবে...।
১. পঞ্চায়েত বা পৌরসভার ওই শংসাপত্র।
২. আপনাকে ছোটবেলায় প্রত্যক্ষ করেছেন এরূপ ৬ জন বয়স্ক ব্যক্তির ভোটার কার্ড।
৩. বাবা ও মায়ের ভোটার ও আধার কার্ড অথবা অন্যান্য নথি। বাবা ও মায়ের মধ্যে কেউ যদি মৃত হয় তার মৃত্যুর সার্টিফিকেট।
৪.. আপনার ভোটার, আধার প্যান, পাসপোর্ট, এডমিট, সার্টিফিকেট, ইত্যাদি।এমন নথি যাতে জন্ম তারিখ বা বয়স দেওয়া আছে। এগুলোর মধ্যে কিছু একটা থাকলে চলবে, সব গুলো থাকার প্রয়োজন নেই।
৫. ওই ৬ জন ব্যক্তির স্বাক্ষর করা একটি নোটারি এফিডেফিট।
৬. কোন স্বীকৃত ডাক্তারের একটি শংসাপত্র। সে হোমিওপ্যাথি বা এলাপাতি যেকোনো ডাক্তার হলেই হবে। ডাক্তার বাবু সেই সময়ে রেজিস্ট্রেশন পাক আর না পাক। তার জন্মের পরেও রেজিস্ট্রেশন পেলে হবে। ডাক্তার বাবু কোর্ট এফিডেফিট বা পঞ্চায়েতের সংশাপত্র বা ব্যক্তিটির বয়ান অনুসারে লিখে দেবে।
৭. Grips পোর্টালে হেল্থ ডিপার্টমেন্টে একটা চালান কাটতে হবে। প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যে হলে ২১ টাকা। পাঁচ বছরের পরে যত বছর হবে, বছরে দু টাকা করে হিসাব করে ওই ২১ টাকার সঙ্গে যোগ করতে হবে। যোগ করে যা হবে ওই টাকা চালান করতে হবে। পাঁচ বছরের মধ্যে হলে শুধুই একুশ টাকা চালান কাটলেই হবে।
৮. সমস্ত ডকুমেন্ট নিয়ে, ই-ডিস্ট্রিক ওয়েবসাইটে দেরিতে বার্থ হিসাবে অনলাইনে দাখিল করতে হবে। সমস্ত কিছু সাবমিট হয়ে গেলে এআরএন নাম্বার (ARN Number) যুক্ত একটা একনলেজমেন্ট স্লিপ দেবে।
৯. ওই একনলেজমেন্ট স্লিপ সহ সমস্ত নথির জেরক্স নিয়ে বিডিও অফিসে এই ডিপার্টমেন্টে যে অফিসার আছে সেই অফিসারের কাছে অথবা রিসিভ সেকশনে সমস্ত কিছু জমা করতে হবে।
১০. সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে কিছুদিন পরে, ই ডিস্ট্রিক্ট ওয়েবসাইট থেকে এসডিও (SDO) সাহেবের একটা পারমিশন পেয়ে যাবেন।
১১. এস ডি ও (SDO)সাহেবের অনুমতি নিয়ে জন্ম-মৃত্যু ওয়েবসাইটে আবার জন্ম সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। এন্ট্রি করলে একটি এআরএন নাম্বার (ARN Number) পাবেন । ওই নম্বর সহ পঞ্চায়েতে বা পৌরসভায় জন্ম মৃত্যু অফিসারের কাছে সমস্ত নথি জমা করতে হবে। অথবা পঞ্চায়েত বা পৌরসভার জন্ম মৃত্যু অফিসারের কাছে উক্ত নথি গুলো জমা করে দিলে তারা আপনার হয়ে দাখিল করে দেবে।
১২. কিছুদিন পরে আপনার মোবাইলে জন্মের সার্টিফিকেটের লিংক চলে আসবে। আপনি যে কোন কম্পিউটার সেন্টার ওটা প্রিন্ট করে নিতে পারেন। বা জন্ম মৃত্যু ওয়েবসাইট থেকেও সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। অথবা পঞ্চায়েত বা পৌরসভায় থেকেও আপনি জন্ম সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।