রাজীব সিকদার
শ্রেনী হচ্ছে বিষধর সাপের থেকেও ভয়ঙ্কর। বিষধর সাপ ঘরে ঢুকে ছোবল মেরে চলে যায়। ফিরে তাকাই না। শ্রেনী যখন আক্রমণে লিপ্ত হয় তখন জয় যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ আক্রমণ করতেই থাকে । জিতে গেলে আরেক শ্রেণীকে শেষ করে নিজে সেই জায়গা দখল নেয়। বিষধর সাপের ন্যায় স্থান ত্যাগ করে না।
শ্রেনী হচ্ছে বিষধর সাপের থেকেও ভয়ঙ্কর। বিষধর সাপ ঘরে ঢুকে ছোবল মেরে চলে যায়। ফিরে তাকাই না। শ্রেনী যখন আক্রমণে লিপ্ত হয় তখন জয় যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ আক্রমণ করতেই থাকে । জিতে গেলে আরেক শ্রেণীকে শেষ করে নিজে সেই জায়গা দখল নেয়। বিষধর সাপের ন্যায় স্থান ত্যাগ করে না।
শ্রেনী যখন প্রবৃত্তি সর্বস্ব হয়ে আত্মরক্ষা কিম্বা ভোগ সর্বস্ব হয় তখন স্বচ্ছন্দে অন্যের থেকে নিতে নিতে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শেষ বিচারে সে আত্মসমর্পণ করে। নিজেকে আড়াল করতে কিম্বা অন্যের থেকে তফাৎ বজায় রাখতে প্রতারণার আশ্রয় নেয় ।
আবার শ্রেনী যখন আপাত ভাবে নিঃশর্তে অন্যকে দিতে চাই তখন এক পর্যায়ে তার যত্নের সামান্য ত্রুটিতেই গর্জন বেড়ে যায়। অন্যের ঘাড় মটকায় কিম্বা প্রবল ঔদ্ধত্যের আস্ফালনে তার সামনের কাউকেই মাথা তুলতে দেয় না।
শ্রেনী যখন যথার্থ চেতনা সম্পন্ন হয়, নিজ দেহে ও মনে প্রকৃতি ও প্রবৃত্তি উভয়কেই মেলানোর ক্ষমতা অর্জন করে তখন নিঃশব্দে সকল প্রতিকূলতাকে অনুকূলতায় পর্যবসিত করে শান্তির দুনিয়া স্থাপন করতে পারে। যে শান্তি আসলে জঙ্গি শান্তি, অপরাজেয়, অপ্রতিরোধ্য। তখন আর প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণী বলে কিছু থাকেনা। আগামীদিনের মানব দুনিয়া সেই শ্রেণীরই অপেক্ষায় দিন - রাত যাপন করছে।