আলপনা সেন

অমর্ত্য সেনের সঙ্গে লেখক
বর্ধমান
অমর্ত্য সেনের সঙ্গে লেখক
বর্ধমান
বাংলা ও বাঙালিদের বিভাজন নিয়ে এ রাজ্যে প্রথম গলা তুলেছিলেন আউশগ্রামের লেখক রাধামাধব মণ্ডল! বাংলা ভাগ নিয়ে সে দিনের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা আর বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র বক্তব্যের বিরুদ্ধে আউশগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এফআইআর করেছিলেন!
আজ তাঁর সেই দাবিকেই মান্যতা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতে কি কোথাও আপনার দাবিকেই শিলমোহর দিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, প্রশ্ন করা হলে লেখক রাধামাধব মণ্ডল বলেন, আসলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের বাংলার অভিভাবক। তিনি বাংলার ভালো চান। তিনি বাঙালির গর্ব। তিনি আমাদের দাবি একমাত্র কাণ্ডারি!
এবিষয়ে পদ্মশ্রী শিক্ষক, দু টাকার মাস্টার মশাই সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, লেখক রাধামাধব মণ্ডল আমার ছাত্রের মতো। আমাদের এলাকার গর্ব। সে বাংলা আর বাঙালিদের ইতিহাস, সংস্কৃতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। সে সময় বিজেপির বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সেই প্রথম আইনের দারস্থ হয়ে মামলা করে। তাতে তাকে বহু হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল।
আমরা তার পাশে আছি। দীর্ঘদিন ধরে সে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের প্রাগৈতিহাসিক যুগের নিদর্শন ক্ষেত্র পাণ্ডুরাজার ঢিবি নিয়ে, বাঙালিদের ইতিহাস রক্ষায় আন্দোলন করছেন। এখন সে রাজ্যের লেখক মহলের পরিচিত মুখ বলেন পাণ্ডুরাজা প্রত্ন গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য শিক্ষক শিবাজী মিত্র। তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ভবনায় রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এই আন্দোলন প্রথম রাজ্যের এক গণ্ড গ্রাম পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের জঙ্গলমহলের গোপালপুর থেকে শুরু করেছিলেন। তাকে স্থানীয় বিজেপি নেতারা সে সময় আক্রমণ করে। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। আমরা সকলেই তার এই আন্দোলনে পাশে রয়েছি। জেলার একমাত্র জঙ্গলমহলের আদিবাসী অধিকার রক্ষার লড়াইও লেখক রাধামাধব মণ্ডল অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন বলে দাবি করেন তিনি।
একসময় তিনি লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর ছত্রছায়ায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার গণআন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কৃষক পরিবারের এই সন্তান এখন বাড়িতে বসেই লেখেন। লেখাই তার জীবিকা।