বেশ কিছু রহস্য জড়িয়ে রয়েছে পুরীর জগন্নাথধামের সঙ্গে। যার মধ্যে তিনটি রহস্য নিয়ে মানুষের কৌতুহল অপরিসীম।বিজ্ঞানও আজ পর্যন্ত যার সমাধান করতে ব্যর্থ।
বিষয়া ভৌমিক
শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয় পুরীর জগন্নাথ মন্দির। যেটি একাধারে অলৌকিক ঘটনা, রহস্য এবং লোকবিশ্বাসে পরিপূর্ণ একটি প্রবিত্র স্থান। যুগ যুগ ধরে মানুষের কৌতূহল বাড়িয়ে চলেছে এর অনেক রহস্য । পুরীর জগন্নাথ এর শীর্ষে থাকা পতাকার রহস্য, তেমনই আরেক রহস্য হল মন্দিরের ছায়া।
১. মন্দিরের ছায়া - প্রায় ২১৪ ফুট উচ্চতা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের। আশ্চর্যের বিষয় দিনের কোনো সময় এই মন্দিরের ছায়া মাটিতে পড়ে না। এটি আজও এক রহস্য বিজ্ঞানীদের কাছে। এক অসাধারণ নিদর্শন বলে মনে করেন অনেক স্থাপত্যবিদ্যার এটিকে। দিনের যেকোনও সময় মন্দিরে গেলেও মন্দিরের ছায়া দেখা যায় না মাটিতে।
২. মন্দিরের পতাকার রহস্য - সবসময় বাতাসের বিপরীত দিকে ওড়ে মন্দিরের চূড়ায় থাকা পতাকা। সাধারণত পতাকা যেদিকে বাতাস বয়, সেদিকেই ওড়ে। কিন্তু এই মন্দিরের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম, যা আজও এক বিস্ময় ঘটনা। সমুদ্রের দিক থেকে বাতাস এলেও পতাকা সেই হাওয়ার গতি বরাবর না উড়ে বিপরীত দিকে ওড়ে। আবার রাতে যখন উল্টোদিকে হাওয়া বয়, তখন পতাকা তার দিক পরিবর্তন করে ফেলে।
৩. মন্দিরের উপর দিয়ে বিমান বা পাখি ওড়ে না - পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের উপর দিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে কোনো বিমান বা পাখি উড়তে দেখা যায় না। এমনকি কোনো পাখি বসেও না মন্দিরের চূড়ায়। অনেকে বিশ্বাস করেন এই মন্দির রক্ষা করেন শ্রীবিষ্ণুর বাহন গরুড়, তাই এর উপর দিয়ে যেতে ভয় পায় অন্য পাখিরা। আবার কেউ কেউ মনে করেন। মন্দিরের উপরে থাকা নীল চক্রের চৌম্বকীয় ক্ষমতার কারণে এমনটা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এর আসল কারণ কী তা এখনও জানা যায়নি।