নরেন্দ্রনাথ কুলে
মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড তুলে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষামন্ত্রক বাংলা সহ সাত রাজ্যকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে । তার কারণ হিসেবে খবরে যা প্রকাশিত তা হল এই সাত রাজ্যের বোর্ডের পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের বেশিরভাগ অসফলতা । এমনভাবে বলা হচ্ছে যে বোর্ড তুলে দিলে পড়ুয়াদের অধিকাংশ সফল হবে । চলমান শিক্ষাপদ্ধতি যেভাবে চলছে সেই পদ্ধতিতে বিশেষ করে সাধারণ অতি-সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েরা সত্যি কি কিছু শিখতে পারছে ? এই ব্যবস্থায় প্রাথমিক থেকে পড়ুয়ারা 'নো ডিটেনশান' পদ্ধতিতে একের পর এক ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়ে এসে বোর্ডের পরীক্ষা তাদের কাছে খুব সহজ হবে -এমনটি কি আশা করা যায় ? এই 'নো ডিটেনশান' পদ্ধতিতে ক্লাসে উত্তীর্ণের পর বোর্ডের পরীক্ষা পড়ুয়াদের কাছে প্রকৃতপক্ষে একটা অথৈ সাগরে হাবুডুবু খাওয়া ছাড়া আর কিছু নয় । আবার এখন দুটি বোর্ড তুলে দিলে এমন ঘরের পড়ুয়াদের পক্ষে পাশ করা আরো সহজ হবে কি ? একটা বোর্ডের পরীক্ষার শংসাপত্র পেতে তাকে আরো দু'বছর অপেক্ষা করতে হবে । সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েদের পক্ষে যাদের মাধ্যমিকের পর অর্থনৈতিক কারণে আর পড়াশোনা করা সম্ভব হয় না, সেই সমস্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের এই ব্যবস্থায় কি তারা কোন সুবিধা পেতে পারে কি ? কিংবা তাদের পড়াশোনার মান বাড়বে কি ? উত্তর দেওয়ার জন্য নতুন শিক্ষানীতির ক্রেডিট স্কোরর কথা বলে সান্ত্বনা দেবে যে তাদের সুযোগ এই স্কোরে রাখা থাকবে, যে কোন সময় তারা পুনরায় এই স্কোর থেকে পড়াশোনা করতে পারবে । একবার পড়াশোনা ছেড়ে দিলে সাধারণ পরিবারের ছেলেমেয়েদের আর পড়াশোনায় ফিরে আসতে পারে কি? যাদের দিন আনতে দিন খেতে হিমসিম খেতে হচ্ছে । আসলে এই ব্যবস্থা এই দীন পরিবারের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখা । এটা একটা নতুন শিক্ষানীতির অঙ্গ যা একটা রাজনৈতিক কৌশল । এ বিষয়ে কোন রাজ্যের শাসক প্রতিবাদ করেনি এবং করবে না । তাঁদেরও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য এর থেকে অন্য কিছু নেই। যা আছে তা শুধু কথার মারপ্যাঁচ ছাড়া আর কিছু নয় ।
মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড তুলে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষামন্ত্রক বাংলা সহ সাত রাজ্যকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে । তার কারণ হিসেবে খবরে যা প্রকাশিত তা হল এই সাত রাজ্যের বোর্ডের পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের বেশিরভাগ অসফলতা । এমনভাবে বলা হচ্ছে যে বোর্ড তুলে দিলে পড়ুয়াদের অধিকাংশ সফল হবে । চলমান শিক্ষাপদ্ধতি যেভাবে চলছে সেই পদ্ধতিতে বিশেষ করে সাধারণ অতি-সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েরা সত্যি কি কিছু শিখতে পারছে ? এই ব্যবস্থায় প্রাথমিক থেকে পড়ুয়ারা 'নো ডিটেনশান' পদ্ধতিতে একের পর এক ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়ে এসে বোর্ডের পরীক্ষা তাদের কাছে খুব সহজ হবে -এমনটি কি আশা করা যায় ? এই 'নো ডিটেনশান' পদ্ধতিতে ক্লাসে উত্তীর্ণের পর বোর্ডের পরীক্ষা পড়ুয়াদের কাছে প্রকৃতপক্ষে একটা অথৈ সাগরে হাবুডুবু খাওয়া ছাড়া আর কিছু নয় । আবার এখন দুটি বোর্ড তুলে দিলে এমন ঘরের পড়ুয়াদের পক্ষে পাশ করা আরো সহজ হবে কি ? একটা বোর্ডের পরীক্ষার শংসাপত্র পেতে তাকে আরো দু'বছর অপেক্ষা করতে হবে । সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েদের পক্ষে যাদের মাধ্যমিকের পর অর্থনৈতিক কারণে আর পড়াশোনা করা সম্ভব হয় না, সেই সমস্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের এই ব্যবস্থায় কি তারা কোন সুবিধা পেতে পারে কি ? কিংবা তাদের পড়াশোনার মান বাড়বে কি ? উত্তর দেওয়ার জন্য নতুন শিক্ষানীতির ক্রেডিট স্কোরর কথা বলে সান্ত্বনা দেবে যে তাদের সুযোগ এই স্কোরে রাখা থাকবে, যে কোন সময় তারা পুনরায় এই স্কোর থেকে পড়াশোনা করতে পারবে । একবার পড়াশোনা ছেড়ে দিলে সাধারণ পরিবারের ছেলেমেয়েদের আর পড়াশোনায় ফিরে আসতে পারে কি? যাদের দিন আনতে দিন খেতে হিমসিম খেতে হচ্ছে । আসলে এই ব্যবস্থা এই দীন পরিবারের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখা । এটা একটা নতুন শিক্ষানীতির অঙ্গ যা একটা রাজনৈতিক কৌশল । এ বিষয়ে কোন রাজ্যের শাসক প্রতিবাদ করেনি এবং করবে না । তাঁদেরও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য এর থেকে অন্য কিছু নেই। যা আছে তা শুধু কথার মারপ্যাঁচ ছাড়া আর কিছু নয় ।